ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

পাহাড়ে ২৪০ সেনাক্যাম্প পুনঃ স্থাপন দরকারঃ জিওসি মতিউর

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধিঃ
রক্তাক্ত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে পার্বত্য শান্তিচুক্তি করেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সশস্ত্র হামলার মাধ্যমে শান্তিচুক্তিকে অকার্যকর করা হয়েছে মন্তব্য করে চুক্তি ভঙ্গকারীদের কঠোর খেসারত দিতে হবে বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান।

আজ বুধবার রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সশস্ত্র হামলায় হতাহতদের পরিবারবর্গসহ স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময়কালে জিওসি আরো বলেন, দেশের মানুষের দাবীনুসারে পাহাড় থেকে সরিয়ে নেয়া ২৪০টি সেনাক্যাম্প আবারো স্ব-স্ব স্থানে পুনঃস্থাপন করাসহ আরো বেশি সংখ্যক ক্যাম্প স্থাপন করার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের পুর্নবিবেচনা করা উচিত।

গত ১৮ই মার্চ রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সশস্ত্র হামলায় নিহতদের পরিবারবর্গকে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে আয়োজিত উক্ত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি গোলাম ফারুক, ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড’র রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক, আনসার ভিডিপি’র চট্টগ্রাম রেঞ্জ কমান্ডার শামছুল আলম, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর কবীর, রাঙামাটির ডিজিএফআইয়ের পরিচালক কর্ণেল শামছুল আলমসহ খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির উদ্বর্তস কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভার আগে বেলা এগারোটার সময় জিওসি হেলিকপ্টারযোগে বাঘাইছড়ি নেমে সশস্ত্র হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের সাথে ঘটনার পরবর্তী সময়ের সার্বিক ঘটনাবলি শুনেন। এসময় তিনি তাদের সান্তনা দিয়ে বলেন, আমরা সন্ত্রাসীদের বিন্দুমাত্র ছাড় দিবোনা। সন্ত্রাসীদের বিতারণের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সাঁড়াশি অভিযান শুরু করা হয়েছে মন্তব্য করে জিওসি বলেন, একশো হাত মাটির নীচ থেকে হলেও তুলে আনা হবে সন্ত্রাসীদের।

এসময় তিনি নিহতের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন আপনাদের মধ্যে যোগ্যতা সম্পন্ন কেউ থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন আমরা তাকে চাকুরির ব্যবস্থা করবো।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের গত ১৮ই মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠান শেষে ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে সাজেক থেকে বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরে আসার সময় আঞ্চলিকদলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্যাপক হামলায় ৮জন নিহত ও ২৮জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। আহতরা বর্তমানে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, খাগড়াছড়ি হাসপাতাল, চট্টগ্রাম সিএমএইচ ও ঢাকা সিএমএইচ এ চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এই ঘটনার পরপরই পাহাড়ের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে দেশী ও বিদেশী বিভিন্ন সংস্থাসহ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকেও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

এদিকে, পাহাড়ের আঞ্চলিকদলীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে অত্রাঞ্চলে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধির দাবিতে প্রায় প্রতিদিনই রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের প্রতিবাদী কর্মসূচী পালন করছে স্থানীয়রা।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print