ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চবিতে পুলিশের সাথে ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অবরোধ চলাকালে পুলিশের সাথে ছাত্রলেগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

আজ রবিবার দুপুরে পুলিশ ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা অবরোধ চলাকালে প্রধান ফটকে দেয়া তালা পুলিশ ভাঙতে গেলে ছাত্রলীগ পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায় বলে পুলিশ দাবী করে। পরে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা শুরু করলে ছাত্রলীগ মারমুখি অবস্থানে চলে যায়।

.

এসময় পুলিশের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণ নিতে পুলিশ গুলি, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও লাঠিচার্জ করেছে।  পুলিশ ৩ ছাত্রকে আটক করেছে বলে জানায়।

এতে এক পুলিশ সহ ১০ জনের মত ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হয় বলে প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান। ছাত্রলীগ গোয়েন্দা পুলিশের একটি গাড়িসহ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে।

আহতদের মধ্যে কয়েকজন হলেন পুলিশ কনেস্টেবল ফরিদ, ছাত্রলীগ সাদি মুর্শেদ, সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র মুখলেছ, নৃ বিজ্ঞান বিভাগের রমজান। এছাড়া আরও দুই ছাত্রলীগ কর্মী ও কয়েকজন পথচারী আহত হয়েছেন। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

নেতাকর্মীরা আবাসিক হলের সামনে কাঠের গুড়িতে আগুন জ্বালিয়েছে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছাত্রলীগের ককটেক ছুঁড়তেও দেখা গেছে।

.

উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রের রূপ নেয়।

হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দিন বলেন, চবি ক্যাম্পাসে প্রধান গেইটে লাগানো তালা খুলে দেয়ার জন্য আমরা ছাত্রলীগ নেতাদের অনুরোধ করেছিলাম। তারা তালা না খললে পুলিশ গিয়ে তালা খুলে দেয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের উপর হামলা চালায়। ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে।

এতে আমাদের একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দিয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য গত কয়েকদিন ধরে ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ ও বিভিন্ন হল থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত কয়েকজনের মুক্তি ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা মামলা প্রত্যাহারসহ ৪ দফা দাবীকে

.

আজ রবিবার সকাল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শাটল ট্রেন বন্ধ করে দেয়। এসময় তারা চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে শাটল ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে লোকো মাস্টারকে অপহরণ করে। পাশাপাশি কয়েকটি বগির হোস পাইপ কেটে দেয়।

অবরোধে আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে সকাল থেকে ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষকদের কোনো বাস শহরে যেতে পারেনি। বন্ধ রয়েছে ক্যাম্পাসে রিকশা ও সিএনজি চলাচলও। মূল ফটকে তালা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেয় অবরোধকারীরা। কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়।

দুপুরে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হলে হলে অবস্থান করছে।

সংঘর্ষের বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এনামুল হক আরাফাত ব্রেকিংনিউজকে বলেন, চার দফা দাবিতে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশকে লেলিয়ে দিয়েছে। এতে আমাদের ৩০ থেকে ৪০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। চার দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print