ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

কোনো মুসলমান মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারে না: আল্লামা শফী

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, পহেলা বৈশাখ উদযাপনের অন্যতম অনুসঙ্গ হিসেবে মঙ্গল শোভাযাত্রার যে আয়োজন করা হয় তা ইসলামি শরিয়ত সমর্থন করে না। কোনো মুসলমান মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারে না।
শুক্রবার রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে আল্লামা আহমদ শফী বলেন, ষোড়শ শতকে মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বর্তমানের যে বাংলা বর্ষপঞ্জি তৈরি হয় তা ফসল রোপণ এবং কর আদায় সহজ করার উদ্দেশ্যেই করা হয়। হালখাতা, পিঠাপুলি বানানোর মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ যেভাবে উদযাপন হয়ে আসছিল তাতে নতুন নতুন যেসব আয়োজন যোগ হচ্ছে তাতে যেমন ধর্মীয় বিধানাবলির বিপরীতে অবস্থান নেয়া হচ্ছে তদ্রূপ আমাদের সংস্কৃতি হুমকিতে পড়ছে। কারণ জাতীয়তার চেয়ে জাতিসত্তার পরিচয় বড়।

তিনি বলেন, আর আমরা লক্ষ করছি এসব আয়োজনে ধীরে ধীরে যেভাবে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটছে যা বাংলাদেশি মুসলমানদের জন্য কখনোই কল্যাণকর হবে না।

আল্লামা শফী আরও বলেন, মানুষের জীবনের কল্যাণ ও মঙ্গল-অমঙ্গল সবকিছুই আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তাআলার হুকুমে হয়। পৃথিবীর সব বিশ্বাসীরা এটাই বিশ্বাস করেন। কোনো মূর্তি,ভাস্কর্য,পোস্টার, ফেস্টুন ও মুখোশে মঙ্গল-অমঙ্গল থাকতে পারে না। বাঘ, কুমির, বানর, পেঁচা, কাকাতুয়া, ময়ূর, দোয়েলসহ বিভিন্ন পশুপাখি মঙ্গল আনতে পারে না।

এসব বিশ্বাস যেমন ইসলামি শরিয়তবিরোধী চেতনা তদ্রূপ এমন আধুনিক সময়ে মূর্তি-ভাস্কর্য ও জীবজন্তুর ছবিতে মঙ্গল-অমঙ্গল কামনা করা একটি কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধ্যান-ধারণা বলেও মন্তব্য করেন হেফাজত আমির।

আল্লামা শফী প্রশ্ন রেখে বলেন, প্রতিবছর পহেলা বৈশাখের সকালে বাদ্যযন্ত্রের তালে নানা ধরনের বাঁশ-কাগজের তৈরি মূর্তি, পেঁচার আকৃতি ও মুখোশ হাতে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউট থেকে মাত্র ২৮ বছর আগ থেকে শুরু হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রা কীভাবে সার্বজনীন বাঙালি উৎসব ও সংস্কৃতি হতে পারে?

তরুণ-তরুণীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা যারা আবেগের বশবর্তী হয়ে, ভুল ধারণায় প্ররোচিত হয়ে কিংবা বয়সের কারণে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও গানবাদ্যের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করো তারা নিজেদের বিরত রাখো। যৌবনকাল আল্লাহ তাআলার প্রদত্ত সবচেয়ে বড় নেয়ামত। তোমাদের মূল্যবান সম্পদ ‘তারুণ্য’ যিনি দান করেছেন তার ইবাদতে ও তার সন্তুষ্টিতে তা কাজ লাগাও। জীবন সুন্দর হবে, আত্মিক প্রশান্তি লাভ করবে।

মুসলিম জনতার উদ্দেশে আল্লামা শফী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশে যেভাবে অগ্নিকাণ্ড, সড়ক দুর্ঘটনা, ধর্ষণ ও পাপাচার বেড়ে চলছে এর থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের উচিত মহান আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা ও ইস্তেগফারের মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনা করা। তার ইবাদাতে মগ্ন হওয়া। নিজেদের আত্মিক পরিশুদ্ধতা অর্জনে চেষ্টা-সাধনা করা। কারণ নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতি ও পরিশুদ্ধতা ছাড়া শুধু মানবরচিত আইনের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার গজব ও পাপাচার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব না।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print