ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

শ্বশুর-শাশুড়ি ছেড়ে বিয়ের পরে আলাদা থাকতেই হবে?

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

ছেলে-মেয়ে যখন ছোট থাকে তখন বাবা-মায়ের হাত ধরে সে প্রথম মাঠিতে পা দিয়ে হাঁটা শুরু করে । মা-বাবা দুইজনের মধ্যে যে যখন সময় পান তখন তাদের সেই সময়টুকু নিজেদের বিশ্রামকে বাদ দিয়ে ছেলে-মেয়েদেরকে দেন। কখনও তাদের লেখা পড়া করান, কখনও ছেলে-মেয়েদের সাথে খেলা করেন।

পরিবারের স্বচ্ছলতা থাকলে কখনও ছেলে-মেয়েদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অথবা স্বামী-স্ত্রী ছাড়া ওই শহরে আর কেউ থাকে না এই সব নানাবিধ কথা চিন্তা করে মা তার পেশাগত ভবিষ্যত ত্যাগ করেন। অনেক সময় খুব ভালো পেশায় থাকা সত্ত্বেও ছেলে-মেয়েদের জন্য সেটা ত্যাগ করেন।

এই ছেলে-মেয়ে যখন বড় হয়, মেয়ে বিয়ের পর নিজের শ্বশুড় বাড়ি আর ছেলে চাকরী শুরু করে। যখন স্বাবলম্বী হয়ে যায় তখন তাকেও মা-বাবা বিয়ে দিয়ে তার নিজের পরিবারের ব্যবস্থা করে দেন। এরপর মা-বাবার অফুরন্ত সময় থাকে হাতে। তাইতো তারা বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এই সময়টা তাদের ছেলে-মেয়েদের সন্তানের সাথে কাটাতে চান। সেটাও কোন সমস্যা নয় ।

সমস্যাটা হয় তখনই যখন মা-বাবা ছেলের বাড়িতেই শুধু তাদের থাকার অধিকার মনে করেন । কারণ ছেলের বউ তাদের আত্মীয় না তাই অন্যের ভুল ধরাটা অনেক সহজ হয়। আবার মেয়েটির নিজের বাবা-মা না হওয়ার কারণে সেও বুঝতে পারে না – কী তাদের পছন্দ, কী তাদের অপছন্দ! তাই সে ভুল করে ফেলে আর শ্বশুর-শ্বাশুড়ী সেই ভুলটাকে খুব বড় করে দেখেন। তাদের এই বড় করে দেখার কারণে বউ নামক মানুষটা আরও বড় বড় ভুল করতে থাকে। বাড়তে থাকে সংসারে অশান্তি। এই সময় তারা যদি বউ এর ভুলকে বড় করে না দেখেন এবং নিজের সন্তানের ভুল উপেক্ষা করার মত করেই বউকে একটু সময় দেন, তাহলে তাদের চাওয়া-পাওয়া মেয়েটা বুঝতে পারে এবং সেক্ষেত্রে সমস্যা বাড়ে না। একসময় বউটি শ্বশুর-শ্বাশুড়ীকে তার বাবা-মায়ের জায়গায় বসিয়ে ফেলে। তাদের মধ্যে একটা আত্মীক সম্পর্ক গড়ে উঠে।

এখন আসি, ছেলেদের ক্ষেত্রে। সব ছেলেই তার মা-বাবকে খুব ভালো করে জানে এবং চেনে, কারণ তার জন্ম উনাদের থেকেই। তাই বউয়ের উপর মা-বাবার নির্ভরতা সে চাইলে কমাতে পারে। মা-বাবার ঔষুধ পত্র থেকে শুরু করে তাদের চাহিদার দিকে সে নিজেই যদি খেয়াল করে তাহলে বউয়ের উপর, অর্থাৎ পরের বাড়ীর মেয়েটির উপর তাদের নির্ভরতা অনেকাংশে কমে যেতে পারে। কিন্ত ছেলেরা বিয়ের পর মনে করে তার পরিবারের সব দায়িত্ব শুধুমাত্র এই বউ নামক পরের বাড়ির মেয়েটির। ছোটবেলা থেকেই আমরা সবাই এই প্রবাদ শুনে বড় হয়েছি, মা এর চেয়ে বেশী সন্তানকে যে ভালোবাসে সে হল ডাইনী । তাহলে নিজের সন্তানের চেয়ে কীভাবে পরের বাড়ির একটা মেয়ে তাদেরকে বেশী ভালোবাসতে পারবে? যদি কোনও বউ সেটা দেখায় তাহলে প্রবাদ অনুযায়ী ওই মেয়েকে (বউ) ডাইনী বলার কথা। কিন্ত তাকে তখন ডাইনী বলা হয় না। বরং সে যখন তার শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর চাওয়া-পাওয়া বুঝতে পারে না, তাদেরকে ঠিকমত যত্ন নিতে পারে না, তখন ছেলেকে নয় ওই মেয়েকেই ডাইনী বা খারাপ বউ বলা হয়। এই সুযোগের সৎ ব্যবহার করেন কিছু আত্মীয়। তখন ছেলেটির সংসারই শুধু ভাঙ্গে না মেয়েটির সংসার এবং তার ছোটবেলার পুতুল খেলার সংসারের যে স্বপ্ন এবং আনন্দ সেটাও ভেঙ্গে যায়। আর এইভাবেই আমরা হারিয়ে ফেলছি পরিবার প্রথা ।

আসুন আমরা আর একটু সহনশীন হই। নতুন যে মেয়েটি আপনার বাড়ীতে এসেছে তাকে একটু সময় এবং তার ভুলগুলিকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে তাকে কাছে টেনে নিন। দেখবেন আপনারা যেমন শান্তিতে থাকবেন একই সাথে আপনার সন্তানও শান্তিতে থাকবে । আর নতুন প্রজন্ম পাবে দাদা-দাদীর আদর।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print