ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

পদ্মা সেতুতে বসেছে ১১তম স্প্যান

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ৩৩ ও ৩৪ নম্বর পিলারের ওপর ১১তম স্প্যান বসানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সেতুর ১ হাজার ৬৫০ মিটার এখন দৃশ্যমান। পদ্মা সেতু প্রকল্পের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি মুন্সীগঞ্জের কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের ৩৪ ও ৩৩ নম্বর পিলারের কাছে এনে রাখা হয় ১১তম স্প্যানটি। সর্বশেষ গত ৯ এপ্রিল মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১৩ ও ১৪ নম্বর পিলারের উপর বসানো হয়েছিল সেতুর দশম স্প্যান। স্বপ্নের এই সেতুটি তৈরি করা হবে ৪২টি পিলারের উপর ৪১টি স্প্যানের সমন্বয়ে।

১৫০ মিটার লম্বা ও প্রস্থে ১৩ মিটার স্প্যানটি তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন দিয়ে উঠানো হয়। স্প্যানটি বসানোর পর জাজিরা প্রান্তে সেতুর দৃশ্যমান হয় ১৩৫০ মিটার। এছাড়া মাওয়া প্রান্তে দুটি স্প্যান বসানো হয়েছে। এর ফলে সেতুর মোট দৃশ্যমান হয় ১৬৫০ মিটার।

পদ্মা সেতুর প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, ১১টি স্প্যান বসানোর পাশাপাশি সেতুর ২৪৭টি পাইল বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ৪৭টি পাইলের মধ্যে ১৫টি পাইলের অর্ধেক বসানো হয়ে গেছে।

পদ্মা সেতুর মোট পিলার হবে ৪২টি। এর মধ্যে ২২টি পিলার নির্মাণ শেষ। আগামী জুন মাসের মধ্যে বাকি আরও ১০টি পিলার নির্মাণকাজ শেষ হয়ে যাবে। তখন আরও গতিতে স্প্যান বসানো যাবে। তখন প্রতি মাসে দুটি করে স্প্যান বসানো সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চীনের চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং (এমবিইসি) সূত্র জানায়, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতু গড়তে তাদের সবচেয়ে বেশি যুদ্ধ করতে হয়েছে পদ্মার তলদেশে। তলদেশে মাটির গঠনগত বৈচিত্র্যের কারণে ১১ পিলারের নকশায় পরিবর্তন আনতে হয়েছে। শুরুর দিকে মাওয়া অংশের কাজ বাদ দিয়ে জাজিরা চলে যেতে হয়েছে। তারপর বছরখানেক পর পুনরায় মাওয়া অংশে কাজ শুরু হয়।

পদ্মা সেতুর মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, সেখানেই প্রস্তুত করা ২১টি স্প্যানের মধ্যে ১১টি এরই মধ্যে বসে গেছে। জাজিরা প্রান্ত থেকে পদ্মা সেতুর রোড স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। ছয় লেন প্রশস্ত চারটি রোড স্ল্যাব বসে গেছে।

পদ্মা সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসবে। প্রস্তুত করে রাখা আছে প্রায় ৩৫০ রোডওয়ে স্ল্যাব। এছাড়া ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ২৭২টি স্ল্যাব বসেছে স্প্যানগুলোতে। এ পর্যন্ত সেতুর অগ্রগতি হয়েছে ৬৫ শতাংশ। আগামী বছরের শেষ দিকে পুরোপুরি কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে সে দেশেরই আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে সেতুর কাঠামো।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print