ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ক্রীড়া সংগঠক শাহেদ আজগরের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ডা. আহমদ ফয়সাল চৌধুরী।

চট্টগ্রামের বিশিস্ট ক্রীড়া সংগঠক শাহেদ আজগর চৌধুরীর বিরুদ্ধে পারিবারিক সম্পত্তি এককভাবে ভোগ দখলের অভিযোগ উঠেছে। বৈধ উত্তরাধিকারীদের সম্পত্তির ভোগদখল ও অধিকার থেকে বঞ্চিত করে দেশের সব আইনকানুন অমান্যকরে শাহেদ আজগর চৌধুরী নিজেই শত শত কোটি টাকার সম্পত্তি এককভাবে ভোগ দখলের অভিযোগ করেন আপন ছোট ভাই ওয়াহেদ আজগর চৌধুরীর ছেলে ডা. আহমদ ফয়সাল চৌধুরী।

আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডা. ফয়সাল জানান, তার পিতা ওয়াহেদ আজগর চৌধুরী, তার অপর তিন ভাই শাহেদ আজগর চৌধুরী, রাশেদ আজগর চৌধুরী ও মোরশেদ আজগর চৌধুরী একমত হয়ে ১৯৭৪ সালে পারিবারিক সম্পত্তি ও নগদ মূলধন দিয়ে গঠন করেন, ‘নূপুর এন্টারপ্রাইজ লিঃ’ নামে কোম্পানী। যার অধীনে নগরীর প্রাণকেন্দ্র স্টেশন রোডে এই কোম্পানীর নামে ৩৭ গন্ডা জমির উপর নির্মিত হয় ৭তলা ভবন। যেখানে আছে প্রায় ৭২৮টি দোকান। যার মাসিক আয় প্রায় দশ লাখ টাকা। এই কোম্পানী গঠনের পর ২২ বছর তা ভালোভাবেই চলে। পরিবারের পক্ষে সব কিছু দেখভাল করতেন শাহেদ আজগর চৌধুরী। কিন্তু ১৯৯৬ সালের পর কোম্পানীর বোর্ড মিটিং, সাধারণ সভা এবং অডিট না হওয়ায় নূপুর এন্টারপ্রাইজ লি: পরিণত হয় অকার্যকর ও মৃত।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডা. ফয়সাল অভিযোগ করেন, এই সুযোগে তার জেঠা শত শত কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের কুমতলবে নিজেকে কোম্পনীর এমডি দাবী করেন। এমডি হিসাবে সাক্ষর করে ৭২৮টি দোকান ও অফিস এর ভাড়া গ্রহণ করেন। এ ছাড়া দোকান ট্রান্সফার ও বিক্রয় বাবদ কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এমনকি মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত কোম্পানীর ৪০২২ বর্গফুটের অফিস স্পেসও বেঁচে দেন জনৈক আবুল কাশেমের নিকট। মার্কেটের তৃতীয় তলায়ও সমপরিমাণ স্পেস বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করেন। অভিযোগ ডা. ফয়সালের।

ফয়সালের দাবী তাদের বাবা ও চাচা চার জনের মধ্যে একমাত্র সে এবং তার ছোট ভাইই বংশের উত্তরাধিকার। অন্য তিন চাচার কন্যা সন্তান হওয়ায় তারা এসব অবৈধ কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে পারেন না। এ জন্য তিনি জেঠা শাহেদ আজগর চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। আদালত ৪০৬ এবং ৪২০ ধারায় অভিযোগ গঠন করে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এত কিছুর পরও গত ২০ এপ্রিল তার বাবা ওয়াহেদ আজগর চৌধুরীর মালিকানাধীন নূপুর মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত নিউ মদিনা হোটেল এন্ড রেষ্টরেন্টও বেঁচে দিতে ষড়যন্ত্র শুরু করেন জেঠা শাহেদ আজগর। তার অভিযোগ, গত দুই বছর ধরে ‘নূপুর এন্টারপ্রাইজ লিঃ’ এর সমস্ত লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে শাহেদ আজগর চৌধুরী। তিনি এসব অন্যায়ের প্রতিকার দাবী করেন সংশ্লিস্টদের কাছে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শাহেদ আজগর চৌধুরীর পাঠক ডট নিউজকে বলেন, সে (ডা ফয়সাল) তিলকে তাল বানাচ্ছে। আমি অন্যায়কে কখনো প্রশয় দিই নাই। আমি কেন সম্পত্তি দখল করে রাখবো। আমি চাই এসবের স্যাটেলম্যান হয়ে যাক। সবার সম্মতিতে নূপুর েএন্টারপ্রাইজের এমডি হয়েছি। আমি আর কত দিন বাঁচবো ? তারাইতো এসব চালাবে। এ মূহুর্তে বোর্ডের কেউ তাকে এমডি হিসেবে চাচ্ছে না। আর আমি বা যে কেউ চাইলে এমডি হওয়া যায় না। এসবের জন্য সে আমাকে গলা টিপে হত্যা করতে চেয়েছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print