ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

অতীতের তুলনায় চট্টগ্রাম বন্দর সক্ষমতা বেড়েছে বহুগুণ

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

অতীতের তুলনায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা অনেকাংশে বেড়েছে বলে দাবী করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বে টার্মিনাল ইয়ার্ড নির্মাণ হলে চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো কাস্টমস কার্যক্রম হবে না। তখন বে টার্মিনাল থেকেই এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানান বন্দর চেয়ারম্যান।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর চট্টগ্রাম বন্দরে ১৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ এ সব কথা বলেন।

বন্দরের শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান জুলফিকার আজিজ বলেন, বর্তমান বৈদেশিক বাণিজ্যের সিংহভাগ সামাল দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। বর্তমানে কনটেইনারবাহী জাহাজ বহির্নোঙরে আসার এক থেকে দুই দিনের মধ্যে জেটিতে ভিড়ছে। এছাড়া একদিন অপেক্ষা না করে জাহাজ সরাসরি জেটিতে ভিড়ার রেকর্ডও হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সাম্প্রতিক চিত্র তুলে ধরে তিনি জানান, কনটেইনার উঠানামার রেকর্ড করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। ২০১৭ সালে যেখানে কনটেইনার উঠানামা হয়েছিল ২৬ লাখ ৬৭ হাজার টিইইউস। সেখানে ২০১৮ সালে হয়েছে ২৯ লাখ ৩ হাজার টিইইউস। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ শতাংশ। সাধারণ কার্গো উঠানামা হয়েছে ৯ কোটি ৬৩ লাখ মেট্রিকটন। এর মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি আয় হয়েছে ১৩ শতাংশ। নতুন করে ৩৭ একর জায়গায় ওপর ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড যুক্ত হতে যাচ্ছে। বর্তমানে বন্দরের ইয়ার্ডে ৫০ হাজারের বেশি কনটেইনার রাখা সম্ভব হচ্ছে।

গত বছর ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, এজন্য চারটি স্বতন্ত্র টার্মিনাল নির্মাণ, ১০টি গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পাশাপাশি বন্দরের জলসীমা ৫০ নটিক্যাল মাইল বিস্তৃত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এ কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম বন্দর বর্তমানের চেয়ে ১৩ গুণ বড় হবে, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত বাণিজ্য মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।

তিনি আরো জানান, বে টার্মিনাল নির্মাণ সম্পন্ন হলে বন্দরের বর্তমান সক্ষমতা বেড়ে যাবে ৩ গুণ। বে টার্মিনালে বেশি গভীরতা ও বেশি দৈঘ্যের জাহাজ দিনরাত ভিড়ানোর সুযোগ থাকবে। ২০১৮ সালে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে ৬০টির অধিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করেছে বন্দর। এছাড়া ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে রেল মাউন্টেড গ্যান্ট্রি ক্রেন কিনেছে। বহির্নোঙরে অবস্থানরত বড় জাহাজ থেকে পণ্য লাইটার করে খালাস করতে কর্ণফুলী নদীর তীরে সদরঘাটে নির্মাণ করা হয়েছে ৫ টি লাইটারেজ জেটি। এছাড়া আরো ১৫ টি লাইটার জেটি নির্মাণ।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর খন্দকার আক্তার হোসেন, পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশিদ, সচিব মো. ওমর ফারুক, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল তানভীর আহাম্মদ জায়গীরদার ও উপ-সচিব (জনসংযোগ) মোহাম্মদ আজিজুল মওলা।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print