
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পাশের সড়কে দুর্ঘটনায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম ফাহমিদা হক লাবণ্য (২১)। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসসি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় লাবণ্যকে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত রাইডার সুমনকে হাসপাতালে পায়নি পুলিশ।
শেরে বাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটলো সেটি কেউই বলতে পারছে না। আশপাশে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরাও নেই। আমরা কারণ জানার চেষ্টা করছি।
লাবণ্যের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য রাজধানীর শ্যামলীর বাসা থেকে নিচে নামেন লাবণ্য। ক্লাস ১২টায় হওয়ায় দ্রুত যেতে হবে বলে রাইড শেয়ার উবারের একটি মোটরসাইকেলে চড়ে রওনা হন।
লাবণ্য বাইকে চড়ার ৩০ মিনিট পর তাকে বহন করা মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয় একটি কাভার্ড ভ্যান। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান লাবন্য। বেলা ১১ টার দিকে শেরেবাংলা নগরের হৃদরোগ হাসপাতালের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিমিষেই শেষ হয়ে যায় লাবণ্যের স্বপ্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আর যাওয়া হয়নি ফাইনাল পরীক্ষার খাতা দেখতে।
জানা যায়, লাবণ্যের বাবা এমদাদুল হক একজন ব্যবসায়ী। লাবণ্যের ছোট ভাই এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। লাবণ্য বরাবরই ভালো ছাত্রী ছিলেন, তাই মা-বাবা মেয়েকে ভর্তি করান কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। বাবা-মার প্রত্যাশা অনুযায়ী লাবণ্যও নিয়মিত ভালো ফলাফল করে আসছিলেন। কিন্তু মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় হঠাৎ করে লাবণ্যের এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছে তার পরিবার।