t পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক-ওয়াদুদ ভূঁইয়া – পাঠক নিউজ

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক-ওয়াদুদ ভূঁইয়া

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি:

13920948_1155657957830641_7886205270033602716_n
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূইয়া।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনকে অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূইয়া।  তিনি বলেন, কমিশনের সংশোধিত আইনে চেয়ারম্যানের ভেটো প্রদানের ক্ষমতা হ্রাস করা হয়েছে। এর ফলে অগণতান্ত্রিক ও একতরফাভাবে বৈধ ভূমি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন বাঙালিরা।

পাহাড়ের ভূমি বিরোধ পাহাড়ি ও বাঙালি-এ দু’ জনগোষ্ঠী কেন্দ্রিক হলেও, কমিশনে শুধুমাত্র পাহাড়িদের প্রতিনিধিই রয়েছে। পার্বত্য বাঙালিদের কোন প্রতিনিধি কমিশনে নেই!”

প্রতিনিধিদের কারোই কোন ধরণের গণতান্ত্রিক ‘ম্যান্ডেট’ নেই। আঞ্চলিক পরিষদসহ যেসব পরিষদের সদস্যরা এ কমিশনে আছেন, তাদের পাহাড়ি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার কথা থাকলেও, তারা অনির্বাচিত। আর বাঙালিদের ম্যান্ডেট কারোই নেই।”

“কমিশনের চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। তিনি একজন সর্বজনশ্রদ্ধেয় নিরপেক্ষ ব্যক্তি। বিচারপতি হিসেবে তার প্রজ্ঞা ও পক্ষপাতহীনতার কোন মূল্য কমিশনের আইনে রাখা হয়নি। সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার। ৫ সদস্যের কমিশনের বাকি ৩ সদস্যই পাহাড়ি! সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে তারা যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। তাই এটি হলফ করে বলে দেয়া যায়, এ কমিশনে বাঙালিদের প্রত্যেকটি বৈধ আবেদনই অগ্রাহ্য করা হবে। এ কমিশনে অবিচারের শিকার হলে কারও উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ নেই। সর্বোপরি এটি অগণতান্ত্রিকই নয় শুধু, অসাংবিধানিকও।”

“পাহাড়িদের কথিত ‘প্রথাগত ভূমি অধিকারে’র ধারণাটি অত্যন্ত অস্পষ্ট, অনির্দিষ্ট এবং আইনগত ও সাংবিধানিকভাবে ভিত্তিহীন। তাই এ অধিকার কীরূপে পাহাড়ি সদস্যরা বাস্তবায়ন করবেন তা পরিষ্কার নয়। সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে যে, এর দরুন সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে তারা বাঙালিদের ভূমি কেঁড়ে নেবেন। সরকারের বন্দোবস্তীকৃত ভূমি বাতিলের ক্ষমতাও এই কমিশনকে দেখা হয়েছে।”

“আগামী ৪ঠা সেপ্টেম্বর সংশোধন হওয়া আইনে কমিশনের প্রথম বৈঠক পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালি জনগোষ্ঠীকে তাদের বসতভিটা থেকে বিতাড়নের প্রথম পদক্ষেপ। আমি এ অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক কমিশন বাতিল অথবা এতে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালি ও পাহাড়ি সম্প্রদায় থেকে সমান সংখ্যক নির্বাচিত সদস্য যুক্ত করা; কেউ ক্ষুদ্ধ হলে আদালতে প্রতিকার চাওয়ার বিধান যুক্ত করা এবং সংবিধানের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও বৈষম্যমূলক বিধানসমূহ সংশোধনের দাবি জানাই।

এ কমিশনের দরুন কোন বাঙালি অন্যায়-অবিচারের শিকার হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিটি বাঙালি রুখে দাঁড়াবে। আমি সরকারকে এ হঠকারী ও বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহবান জানাই।”

সর্বশেষ

চকবাজারের কুটুমবাড়িকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

বাকলিয়া এক্সেস রোড়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত : আহত ১০

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা’র প্রভাবে সারাদেশে ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশকে গ্রেপ্তার

মৃত্যুপুরী রাউজান : ১৩ মাসে ১৬ খুন

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print