ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চুলের যত্ন ঘরোয়া পদ্ধতিতে

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

শুধু বড় চুল মানেই যে সুন্দর, এই ধারনা টা কিন্তু ভুল। নিয়মিত পরিচর্যা করে ছোট বা মাঝারি চুলকেও নজরকারা করে তোলা সম্ভব। দুঃখজনক হলেও কথাটা সত্য যে, আমরা তখনই চুলের পরিচর্যা শুরু করি যখন আমাদের চুলের সমস্যা প্রখর ভাবে দেখা দেয়। কিন্তু সমস্যা শুরু হবার আগে থেকেই নিয়মিত রুটিন মাফিক চুলের যত্ন নিলে খুশকি, নির্জীবতা এবং চুল পরার মত সমস্যাগুলো এড়ানো সম্ভব। আসুন আজকে আমরা জেনে নিই কীভাবে চুলের যত্নের রুটিন মেনে চলা যায়।

তেল

চুলের যত্নে তেলের কোন বিকল্প নেই। ভালো চুল পেতে হলে সপ্তাহে ৪ দিন আপনাকে চুলে তেল দিতে হবে। চেষ্টা করুন রাতে ঘুমানোর আগে তেল দেয়ার। নারিকেল তেলের পাশাপাশি আমন্ড অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, তিল তেল এগুলো মিশিয়ে চুলে দিবেন। ক্যাস্টর অয়েল নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। সপ্তাহে ১ দিন চুলে অবশ্যই হট অয়েল মাসাজ করবেন।

চুল বাঁধা

চুল দরকার হলে ছাড়া না রাখাই ভালো। এতে চুলকে দূষণ এর হাত থেকে বাঁচানো যায়। গোসলের পর চুল শুকিয়ে ভালো ভাবে বেণি বা খোপা করে রাখুন। বাইরে বের হলে স্কার্ফ ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন অতিরিক্ত তাপ বা ঠাণ্ডা দুটোই কিন্তু চুলের পক্ষে ক্ষতিকর।

তাই রোদে বের হলে ছাতা ব্যবহার করুন এবং এয়ার কন্ডিশন রুমে অনেকক্ষণ থাকা থেকে বিরত থাকুন।

চুলের যত্নে কিছু উপকারী হেয়ার মাস্ক

আপনার চুলের পুষ্টির জন্য কিছু ঘরোয়া মাস্কের রেসিপি দিলাম, যেগুলো খুবই সহজলভ্য এবং নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের সমস্যা দূর হয়।

ডিম চুলের যত্নের একটি অনন্য উপাদান। সপ্তাহে ২ দিন নাহলে অন্ততপক্ষে ১ দিন চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী ডিম ফেটিয়ে চুলে দিয়ে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। তারপর, প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে এক মগ পানিতে ২/৩ চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে চুলে দিয়ে ২ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

যারা চুলের কালার এবং পুষ্টি দুটোই চান, তারা মেহেদি পাতা বাটা এবং ৪ চা চামচ কফি পাউডার মিশিয়ে চুলে এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করবেন না ঐদিন।

মাথায় খুশকি বা ফুসকুড়ি থাকলে নিমপাতা ও মেথি একসাথে বেটে সপ্তাহে ২ দিন লাগালে খুব তাড়াতাড়ি ফল পাবেন।

চুল সিল্কি করতে চাইলে ডিম ফেটিয়ে তাতে লেবুর রস মিশিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

ডিম এবং মধুর মাস্ক চুলের ভলিউম বাড়াতে সাহায্য করে।

মাথার তালু ঠাণ্ডা রাখার একটি অব্যর্থ উপাদান হলো আলভেরার শাঁস বা জুস। এর সাথে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলবেন।

পেঁয়াজের রস চুল গজাতে সাহায্য করে। ১৫ দিনে ১ বার মাথার তালুতে তুলোয় করে পেঁয়াজের রস লাগাবেন।

যারা কেমিক্যাল-যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে চান না, তারা রিঠা সারা রাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন সেটার পানি ছেঁকে শ্যাম্পুর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

এ তো গেল চুলের বাইরের যত্নের কথা। ভালো চুল পেতে হলে খাওয়া দাওয়াতেও নিয়ম মেনে চলতে হবে। প্রোটিন যেমন মাছ, ডিম এবং ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার চুলের জন্য ভালো। শাক সবজি এবং ফল ও খেতে হবে প্রচুর। পেটের সমস্যা থেকে অনেক সময় চুল পড়ে, তাই সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। হেয়ার ড্রায়ার, আয়রন মেশিন, কারলার, স্প্রে, হেয়ার চক, হেয়ার কালার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। ডক্টর এর সাথে আলোচনা করে ভিটামিন বা আয়রন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে।

চুলের যত্নে আমার কিছু পছন্দের প্রোডাক্টের নাম নীচে দিলাম। তবে এগুলো আমাকে স্যুইট করলেও আপনাদের নাও করতে পারে।

– প্যারাসুট হেয়ার অয়েল।

– কুমারিকা হেয়ার অয়েল।

– Well’s Almond hair oil

– Well’s Castor oil

– Loreal Total repair 5 shampoo

– Sunsilk Black conditioner (BD)

সর্বশেষ

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে

নারী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ⦿ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার দাবি

চকবাজারের কুটুমবাড়িকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

বাকলিয়া এক্সেস রোড়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত : আহত ১০

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা’র প্রভাবে সারাদেশে ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশকে গ্রেপ্তার

মৃত্যুপুরী রাউজান : ১৩ মাসে ১৬ খুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print