ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ঠাকুরগাঁওয়ে ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষকের কান্না

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

ঠাকুরগাঁওয়ের চলতি বোরো মৌসুমে ধানের ন্যায মূল্য না পাওয়ায় হতাশায় দিনপার করছেন চাষিরা। ধান বিক্রি করে লাভ তো দুরের কথা আসল টাকাও তুলতে পারছে না এমন অভিযোগ চাষিদের। এমনকি বাজারে ধানের চাহিদা না থাকায় কাঁচা ধান নিয়ে বিপাকে পরেছেন তারা।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে জেলায় বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬২ হাজার ৩শ ৬০ হেক্টর আর অর্জিত হয়েছে ৬২ হাজার ৩শ ৫০ হেক্টর। কৃষি বিভাগ বলছে উৎপাদন গত বছরের তুলনায় এবার কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর প্রতি হেক্টরে চাল উৎপাদন হয়েছিল ৩.৮ টন আর এবার বৃদ্ধি পেয়ে ৪ টন হচ্ছে।

আশানরুপ ফলন হলেও ধান উৎপাদনে প্রয়োজনীয় সকল উপাদানের দাম বেশি থাকায় লোকসানের মুখে পরেছেন চাষিরা। গত মৌসুমের ধান ব্যসায়ীদের ঘরে জমে থাকায় ধান ক্রয়ে তেমন আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের। তাই বাজারে ধানের চাহিদা না থাকায় দাম কমেছে ধানের।

১৬শ ৯০টি হ্যাস্কিং মিল ও ১৭ টি অটো রাইস মিলের মাধ্যমে ৩০ হাজার ৬শ ১৯ মেট্রিক টন চাল ও ১ হাজার ৮শ ৫৭ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করবে সরকার। যা উৎপাদনের তুলনায় সামান্য।

জামালপুর এলাকার কৃষক আব্দুল্লাহ ও হামিদুর জানান, বর্তমানে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলার হাট বাজারগুলোতে প্রতি মণ ধান ৩০০/৩৫০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। যেখানে প্রতি মণ ধান উৎপাদন খরচ ৬০০/৬৫০ টাকা। এভাবে ধানের দাম প্রতিবার কম পাওয়ায় কৃষকরা লোকসানে পড়ছে। এর পরের বছর থেকে কোন কৃষক আর ধান চাষ করতে চাইবে না।

ঠাকুরগাঁও জেলা চাল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজু বলেন, বর্তমানে বাজারে যে ধান আমদানি হচ্ছে তা কাঁচা ধান। সরকারি নিয়ম অনুযায়ি আদ্রতায় আনলে ৪০ কেজি ১০ কমে যাবে। তাই বাজারে ধানের দাম কম সত্য হলেও ভাল ধানের দাম কিছুটা ভাল আছে।
তিনি আরও বলেন, বিগত দিনের চেয়ে এ বছর ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া গত আমন মৌসুমের ধান এখনও মিলারদের কাছে মজুত থাকায় ধান ক্রয়ের আগ্রহ নেই মিলারদের। মিলাররা যে পরিমাণ বরাদ্দ পেয়েছে তাতে গত মৌসুমের ধান শেষ হবে না। তবে সরকার যদি আরও বরাদ্দ দেয় তাহলে দাম কিছুটা বাড়তে পারে।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আফতাব হোসেন বলেন, ধান উৎপাদনের জন্য সকল উপাদন সময় মত পাওয়ায় ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে চাষিদের ধান উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান বাজারে যে দাম তাতে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তবে ধান শুকিয়ে সংরক্ষণ করলে পরে লাভবান হতে পারে।

এ ছাড়াও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি ধান চাষিদের তালিকা প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত সময়ে ধান-চাল ক্রয় শুরু হবে। ব্যবসায়িরা ক্রয় শুরু করলে বাজার স্থিতিশীল হতে পারে।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print