
সদ্য পুলিশের চাকুরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে খুঁজতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিম ঢাকায় অবস্থান করছে। তবে বাবুলের স্ত্রী মাহমুদ আক্তার মিতু হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিএমপির সহকারী কমিশনার কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, বাবুল আক্তারকে আটক করা হয়েছে কি না অথবা ঢাকায় এ সংক্রান্ত একটি টিম অবস্থান করছে-এমন তথ্য তার জানা নেই।
মূলত কামারুজ্জামানের নেতৃত্বেই সিএমপির টিমটি ঢাকায় অবস্থান করছে বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে।
জানাগেছে, চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর তিনি শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন না। আজ বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি শ্বশুরবাড়িতে আছি।’
বাবুলকে মিতু হত্যা মামলার আসামি করা হতে পারে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, এটা বলার সময় এখনো আসেনি। আমরা আসলে মিতু হত্যার মূল সংগঠক মুসাকে খুঁজছি। গ্রেফতার হওয়া অপর আসামিরা মুসার নামই বলেছে। কিন্তু মুসা কার নির্দেশে মিতুকে খুন করেছে সেটা জানা দরকার।
সূত্র জানায়, এই নির্দেশ দাতাকে শনাক্ত করতেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা মামলার বাদী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে খুঁজছে।
গত ৫ জুন ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় দুর্বৃত্তদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে।
মিতু হত্যার ১৯ দিন পর ২৪ জুন বাবুল আক্তারকে ঢাকার বনশ্রী এলাকায় শ্বশুরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রায় ১৫ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ওই সময় বলেছিলেন কয়েকজন আসামির মুখোমুখি করার জন্য বাবুল আক্তারকে বাসা থেকে আনা হয়েছিল। একইদিন বাবুল আক্তার পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। তবে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি বলে বাবুলের শ্বশুর পরে দাবি করেন। অন্যদিকে মুসার স্ত্রী পান্না আক্তার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন তার স্বামীকে ২২ জুন নগরীর বন্দর এলাকার একটি বাসা থেকে পুলিশ আটক করে। এরপর তাকে ঢাকায় নিয়ে বাবুলের মুখোমুখি করানো হয়। কিন্তু এরপর তার স্বামীর সাথে তাদের আর কোনো যোগাযোগ নেই।