t সিলেটে নারী আইনজীবী খুন, ইমাম গ্রেফতার – পাঠক নিউজ

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সিলেটে নারী আইনজীবী খুন, ইমাম গ্রেফতার

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট আবিদা সুলতানা (৩২) রোববার বড়লেখায় পৈত্রিক বাসায় নির্মমভাবে খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ বাসার ভাড়াটিয়া ও পারিবারিক মসজিদের ইমাম মাওলানা তানভির আহমদের স্ত্রী ও মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। সোমবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল পুলিশ মাওলানা তানভির আহমদকে গ্রেফতার করেছে।

নিহত আবিদা সুলতানা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির (কাঠালতলী) মাধবগুল গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল কাইয়ুমের বড় মেয়ে। তারা তিন বোন সবাই বিবাহিতা।

ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে পুলিশ নিহতের লাশ তার স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করেছে। বাদ মাগরিব স্থানীয় সমজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে।

এদিকে নির্মমভাবে অ্যাডভোকেট আবিদা সুলতানা খুনের ঘটনায় মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতসহ প্রত্যেক আদালত এবং বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কোর্ট রেফারেন্স (আদালত বর্জন) পালিত হয়েছে। দ্রুত হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ক্লু-উদ্ধার ও হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃত্বে সোমবার দুপুরে মৌলভীবাজার কোর্ট প্রাঙ্গণে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

জেলা বারের আইনজীবীরা অ্যাডভোকেট আবিদা সুলতানা হত্যা মামলার আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

জানা গেছে, মৃত আব্দুল কাইয়ুমের তিন মেয়ে রয়েছে। স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন। বড় মেয়ে অ্যাডভোকেট আবিদা সুলতানা মৌলভীবাজার জজকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সুধাময় রায়ের অধীনে থেকে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। দ্বিতীয় মেয়ে সাজিদা সুলতানা ও ব্যবসায়ী স্বামী মারুফ আহমদ বিয়ানীবাজারে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তৃতীয় মেয়ে সাহিদা সুলতানার স্বামী আমেরিকা প্রবাসী হওয়ায় সে ও মানসিক ভারসাম্যহীন তাদের মা দ্বিতীয় মেয়ের সঙ্গে বসবাস করেন।

মৌলভীবাজারে থাকলেও আবিদা কয়েকদিন পরপর বড়লেখায় পৈত্রিক বাড়ি থেকে ক্ষেতের চাল নিয়ে যেতেন। তিন বোনই বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে মেইন বাড়ির ৫০-৬০ গজ দূরে কাঠালতলী মেইন রাস্তার পাশের নতুন বাসায় থাকতেন। এ বাসার একপাশে তাদের পারিবারিক মসজিদের ইমাম উপজেলার চরকোনা গ্রামের মনির আলীর ছেলে মাওলানা তানভির আহমদ স্ত্রী ও মা নিয়ে নামমাত্র ভাড়ায় বসবাস করতেন।

নিহত আবিদার স্বামী শরীফুল ইসলাম একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত এবং একত্রে মৌলভীবাজারে শহরে বসবাস করতেন। তিনি জানান, শুক্রবার স্ত্রী অ্যাডভোকেট আবিদা বিয়ানীবাজারে শ্যালিকা সাজিদা সুলতানার বাসায় যান। শনিবারও সেখানে থাকেন।

তিনি জানান, রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিয়ানীবাজার বোনের বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি কাঠালতলীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। বিকালের মধ্যেই মৌলভীবাজার ফেরার কথা। বিকাল ৪টার দিকে আবিদার বোন তার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাচ্ছিল না। পরে আবিদার বোনেরা তাকে খুঁজতে বাবার বাড়িতে যায়। রাস্তার পাশের বাসায় গিয়ে তালাবদ্ধ দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে থানায় যান।

নিহত আবিদার দ্বিতীয় বোনের স্বামী মারুফ আহমদ জানান, বাসা তালাবদ্ধ দেখে পুলিশ মসজিদের ইমামের শ্বশুরবাড়ি টাকি গ্রামের ফখর উদ্দিনের বাড়ি থেকে তার স্ত্রী ও মাকে সঙ্গে করে নিয়ে চাবি দিয়ে বাসা খুলেন। একটি কক্ষে অ্যাডভোকেট আবিদা সুলতানার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। দুপুর থেকেই ইমাম মাওলানা তানভির আহমদ পলাতক থাকায় পুলিশের সন্দেহ হয়।

থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক জানান, নিহতের মাথায় ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার বিকালে স্বজনদের নিকট লাশ হস্তান্তর করেছেন।

তিনি বলেন, রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইমামের স্ত্রী ও মাকে থানায় নিয়ে যান। সোমবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আবদুস ছালেকের নেতৃত্বে পুলিশ বরুনা মাদ্রাসা এলাকা থেকে মাওলানা তানভির আহমদকে গ্রেফতার করেছে।

সর্বশেষ

চকবাজারের কুটুমবাড়িকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

বাকলিয়া এক্সেস রোড়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত : আহত ১০

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা’র প্রভাবে সারাদেশে ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশকে গ্রেপ্তার

মৃত্যুপুরী রাউজান : ১৩ মাসে ১৬ খুন

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print