ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে নিহত ৪

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

ভারতের জাতীয় নির্বাচনের পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে টান টান উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে কয়েক জেলায় দফায় দফায় সংঘর্ষও হয়েছে। তবে শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালীতে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন অন্তত চারজন।

বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ ও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। রাজ্য পুলিশ অবশ্য তিনজনের মৃত্যুর খবর স্বীকার করেছে। আনন্দবাজার পত্রিকা ও এনডিটিভির।

স্থানীয় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাহিনী শনিবার সন্ধ্যায় হামলা চালায় বলে বিজেপির অভিযোগ। প্রথমে ওই এলাকায় তৃণমূলের বৈঠক হয় এবং বৈঠক শেষে বিজেপির পতাকা খুলতে শুরু করে তৃণমূল, তার থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর দাবি।

কিন্তু জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাল্টা অভিযোগ, বৈঠক শেষে মিছিল বের করেছিল তৃণমূল। সেই মিছিলে হামলা চালিয়ে তৃণমূলকর্মী কাইয়ুম মোল্লাকে গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করা হয়।

বিজেপি অবশ্য জ্যোতিপ্রিয়র দাবি অস্বীকার করে বলছে, বাড়ি বাড়ি হামলা চালিয়ে গুলি করা হয়েছে বিজেপিকর্মীদের, তাতে অন্তত তিন বিজেপিকর্মী নিহত হয়েছেন, জখম ও নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। বেপরোয়া গুলি চালানোর সময়ে তৃণমূলের গুলিতেই তৃণমূলকর্মী কাইয়ুম মোল্লা নিহত হয়েছেন বলে তাদের দাবি।

তৃণমূলের একটি সূত্রের বক্তব্য, শনিবার বিকালে ন্যাজাটে তাদের দলীয় বৈঠক ছিল। তার পরে একটি মিছিল বের করলে বিজেপি তার ওপর হামলা চালায়।

মিছিলের পেছনে থাকা তৃণমূলকর্মী কাইয়ুম মোল্লাকে প্রথমে গুলি করা হয় এবং পরে টেনে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এর পরেই পাল্টা প্রতিরোধে নামে তৃণমূল। দলের অপর সূত্রে জানানো হয়, বৈঠক চলাকালীনই বিজেপি আক্রমণ চালায়।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূল আশ্রিত সন্ত্রাসীদের নেতৃত্বেই এ ঘটনা ঘটেছে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দলের পক্ষ থেকে প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।

শনিবার রাতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ফোন আসে রাজ্য বিজেপি নেতাদের কাছে। মুকুল রায় টুইট করে জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যাবে বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল।

রাজ্য বিজেপি রোববার সন্দেশখালীর ঘটনা নিয়ে বৈঠকে বসবে। সন্দেশখালীতে রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধিদল পাঠানোর কথা ভাবা হচ্ছে। দিল্লি থেকেও দলের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পাঠানো হতে পারে।

তা ছাড়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে সন্দেশখালীর ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছেন মুকুল রায়।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাবি, বিজেপিই আমাদের কর্মীকে প্রথমে গুলি করে এবং পরে কুপিয়ে খুন করে। দলের ছয় নারী কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের মিনা খাঁ ও বসিরহাটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামে গেলেও প্রথমে সেখানে ঢুকতেই পারেনি। পরে বসিরহাট থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print