
ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত। অভিযোগপত্রে ১৬জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে ও ৫জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুন উর রশিদের আদালত পিবিআই দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহন করেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় পিবিআই ও পুলিশ প্রিজন ভ্যানে করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মূল আসামী মাদ্রাসা অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, খুবই স্পর্শকাতর এ মামলার অভিযোগপত্র ও প্রায় ৮০০ পৃষ্ঠার সামগ্রিক নথিটি গত ২৮ মে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচার বিভাগীয় হাকিম জাকির হোসাইনের আদালতে দাখিল করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কর্মকর্তারা।
সেদিন অভিযোগপত্রসহ কেস ডকেট (সার্বিক নথি) জমা দিলেও বিচারক অভিযোগপত্রটি পর্যবেক্ষণ করে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুন উর রশিদের আদালতে পাঠিয়ে দেন। এরপর গত ৩০ মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে আসামিদের হাজির করা হলেও বিচারক সেদিন অভিযোগপত্র গ্রহণের ওপর শুনানি না করে ১০ জুন শুনানির তারিখ ধার্য করেন। সে অনুযায়ী সোমবার সকালে ওই আদালতে শুনানি শুরু হয়।।
মামলার বাদীপক্ষে রয়েছেন অ্যাডভোকেট শাহজাহান সাজু। আসামিপক্ষে রয়েছেন অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন নান্নু, তাজুল ইসলামসহ কয়েকজন আইনজীবী।
সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাতকে হত্যার উদ্দেশ্যে গত ৬ এপ্রিল গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। এ ঘটনায় নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। ১২ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইতে পাঠানো হয়। পুলিশ ও পিবিআই এ ঘটনায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে ১২ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। গত ২৮ মে ১৬ জনের ফাঁসির আবেদন করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই।