ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ভাড়া নিয়ে বির্তকঃ যাত্রী হত্যার অভিযোগে সেই বাসচালক গ্রেফতার

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

গাজীপুরে ভাড়া নিয়ে বিতণ্ডার জের ধরে রবিবার যাত্রীকে বাসের নিচে চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগে ‘আলম এশিয়া’ পরিবহনের চালক রোকনউদ্দিনকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে।

আজ বিকালে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে, যাত্রী সালাউদ্দিন আহমেদের (৩৫) লাশ গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার সকালে স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. প্রণয় ভূষণ দাস জানান, বাসের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে বুক ও হাতের হাড় ভেঙে গিয়ে এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সালাউদ্দিন মারা গেছেন।

জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই জামাল হোসেন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় চালকসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

গাজীপুর পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেন, ‘নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তারে জোরালো তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এটা কোনো দুর্ঘটনার মামলা নয়, নেয়া হয়েছে হত্যা মামলা। সেই গুরুত্ব দিয়েই আমরা কাজ করছি।’

রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যাত্রী সালাউদ্দিনকে বাসের নিচে চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়।

নিহত সালাউদ্দিন ঢাকার আলুবাজারের মৃত শাহাবউদ্দিনের ছেলে। তিনি গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকার আতাউর রহমান আতা মেম্বারের বাড়িতে স্ত্রীসহ ভাড়ায় থেকে স্থানীয় স্কটেক্স অ্যাপারিয়াল কারখানার গাড়িচালক হিসেবে কাজ করতেন।

নিহতের স্ত্রী পারুল আক্তার জানান, স্বামী সালাউদ্দিনকে সাথে নিয়ে তিনি ঈদের ছুটিতে ময়মনসিংহে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান।

রবিবার তারা ময়মনসিংহ থেকে আলম এশিয়া পরিবহনের বাসযোগে কর্মস্থল গাজীপুরে ফিরছিলেন। পথে তার স্বামীর সাথে ভাড়া নিয়ে পরিবহনের সহকারীর বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে বাসের ভেতরেই সালউদ্দিনকে মারধর করেন পরিবহনের সহকারী এবং লাথি মেরে তাকে ফেলে দেবেন বলে হুমকি দেন।

ভয় পেয়ে সালাউদ্দিন তার ভাই জামালকে ফোনে বাঘের বাজার বাসস্ট্যান্ডে এসে দাঁড়াতে বলেন। পরে জামাল আরও ৫-৬ জন লোক নিয়ে বাঘের বাজার দাঁড়িয়ে থাকেন। তবে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা স্বজনরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই সালাউদ্দিনকে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দেয়া হয়। কিন্তু তার স্ত্রীকে নিয়ে বাস চলে যেতে থাকে। স্ত্রীকে না নামিয়ে বাস চলে যেতে থাকলে সালাউদ্দিন দৌড়ে বাসটির সামনে গিয়ে গতিরোধ করার চেষ্টা করেন। এ সময় চালক বাসটি সালাউদ্দিনের ওপর উঠিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে দ্রুত গতিতে বাসটি নিয়ে সটকে পড়েন চালক।

পরে পারুল কান্নাকাটি শুরু করলে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে বাসের গতি কমিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে পুলিশ বাসটিকে আটক করতে পারলেও তখন চালক ও তার সহকারীরা পালিয়ে যায়।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print