
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ছাদ ধসে ৮ শিশুসহ ১১ জন আহত হয়েছেন। এদিকে ছাদ থেকে পলেস্তরা খসে পড়ার ঘটনায় ভয়ে হাসপাতাল ছাড়ছেন রোগীরা। অন্যদিকে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রোগীদের মধ্যে বিরাজ করছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. খলিলউল্যাহ জানান, জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ছাদের পলেস্তরা খসে ৮ শিশুসহ ১১ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রোগীদের শিশু ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, তিন বছর আগে শিশু ওয়ার্ডসহ আরও তিনটি ভবনকে গণপূর্ত বিভাগ নোয়াখালী পরিত্যক্ত ঘোষণা করে।
এর আগে ২০১৮ সালের ১২ জুলাই নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের পুরনো ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়ার্ডের ছাদ ধসে দুই নার্স আহত হয়েছিলেন। তারা হলেন- সিনিয়র স্টাফ নার্স স্বপ্না মজুমদার ও শিক্ষানবিশ নার্স রানী আক্তার।
পুরনো ভবন তিনটি পুরোটাই ঝুঁকিপূর্ণ। তার পরও স্থান সংকুলানের অভাবে ওই ওয়ার্ডগুলোতে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে একাধিকবার ভবনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ছাদের পলেস্তরা খসে পড়েছে।দেশে

আমাদের নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে কংক্রিটের পলেস্তারার একটি বড় অংশ খসে পড়ে অন্তত আট শিশু আহত হয়েছ। তবে শিশুদের কেউ গুরুতর আহত হয়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার ভোর ৬টা ২০মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ার ঘটনায় ভয়ে হাসপাতাল ছাড়ছেন রোগীরা।
অন্যদিকে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রোগীদের মধ্যে বিরাজ করছে।
জানাগেছে, তিন বছর আগে শিশু ওয়ার্ডসহ আরো তিনটি ভবনকে গণপূর্ত বিভাগ পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। এর আগে ২০১৮ সালের ১২ জুলাই নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের পুরোনো ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়ার্ডের ছাদ ধসে দুই নার্স আহত হয়েছেন।
তারা হলেন- সিনিয়র স্টাফ নার্স স্বপ্না মজুমদার ও শিক্ষানবিশ নার্স রানী আক্তার। ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ার জন্য ভবনটির জরাজীর্ণ অবস্থাকে দায়ী করেছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ফরিদউদ্দীন আহমেদ।