t কোলেস্টেরল বাড়ার বিপদ ও করণীয় – পাঠক নিউজ

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

কোলেস্টেরল বাড়ার বিপদ ও করণীয়

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়েই হৃদরোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এর মধ্যে হৃদপিণ্ডের পেশির ধমনীতে বাধা তৈরির জন্য অনেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর এই বাধা তৈরির অন্যতম কারণ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। আর এর অন্যতম কারণ খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, বলছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।

ফ্যাট বা স্নেহপদার্থ শরীরে শক্তি জোগাতে অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। ফ্যাটেরই একটি বিশেষ শ্রেণি হলো কোলেস্টেরল। ভিটামিন ডি, পিত্ত, অম্ল, পিত্তলবণ, স্টেরয়েড ও যৌন হরমোন সংশ্লেষ এবং কোষপর্দার উপাদানরূপে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে খাদ্য উপাদান হিসেবে একে গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই— এমনই মত চিকিৎসকদের। কারণ, মানব শরীরে প্রতিটি কোষ বিশেষ করে যকৃৎ (৭৫ শতাংশ), ত্বক, অ্যাড্রিনাল এবং অন্ত্রের কোষগুলো অন্য ফ্যাট থেকে যে পরিমাণ কোলেস্টেরল তৈরি করে তাই যথেষ্ট বলে মনে করা হয়।

যখন খাদ্যের মাধ্যমে কোলেস্টেরল গ্রহণ মাত্রাতিরিক্ত হয়ে থাকে, তখন এটি সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। আবার অধিক পরিমাণে শর্করা জাতীয় খাদ্যগ্রহণ করলেও সেটি শরীরে ফ্যাটে রূপান্তরিত হয়। দেহকোষগুলো তখন অধিক পরিমাণে কোলেস্টেরল তৈরি করে। কিছু পরিমাণ মল ও সিবামের সঙ্গে রেচিত হলেও, জারিত কোলেস্টেরলের একটা বড় অংশ ধমনীর প্রাচীরে জমা হয় রক্তের প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। এর ফলে হৃৎপিণ্ডের বাম-নিলয়ের প্রাচীর পুরু হয়ে রক্ত উৎক্ষেপণ ক্ষমতা হ্রাস পায়। হৃৎপিণ্ডের পেশিতে রক্ত বহনকারী সূক্ষ্ম ধমনীগুলোতে যখন কোলেস্টেরল ট্রাইগ্লিসারাইড ও অনুচক্রিকা জমা হয়ে পিণ্ডের সৃষ্টি হয়, তখন রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা দেখা দেয়। এছাড়া অ্যানজিনা, হার্ট ফেলিওর প্রভৃতি হৃৎপিণ্ড সংক্রান্ত রোগগুলো রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে ঘটে।

চিকিৎসাবিদদের মতে, রক্তে কোলেস্টরলের স্বাভাবিক মাত্রা হল ২০০ মিলিগ্রাম প্রতি ডেসিলিটার এর কম। রক্তে কোলেস্টেরল একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় থাকলে (বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই মাত্রাটি হতে হবে প্রতি ডেসিলিটারে ১৬০ মিলিগ্রামের কম) হৃদরোগ এড়ানো সম্ভব হয়। ‘ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড’ সমৃদ্ধ ‘ফাস্ট ফুড’, চিপস, কুকিজ, ধূমপান ও মদ্যপান প্রভৃতি রক্তে এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। রক্তে এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমা এবং এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ার ফলে কোলেস্টরলের স্বাভাবিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। আর এতেই বাড়ে হৃদরোগের আশঙ্কা। সম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে এই সমস্যা হয়ে থাকে।

চিকিৎসকদের দাবি, একক ও বহু অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার খেলে এই সমস্যা এড়ানো যায়। সম্পৃক্ত খাবারে তালিকায় রাখা হয় চর্বি জাতীয় মাংস, নারকেল, মাখন, ঘি, কাজু বাদাম, ডিমের কুসুম, পাম তেল প্রভৃতি। হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে বলেন চিকিৎসকেরা। তবে আগে থেকেই এগুলো এড়িয়ে চললে হৃদরোগের আশঙ্কাও অনেকটা কমতে পারে।

অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার, যেমন- তুষের তেল, সর্ষের তেল, সূর্যমুখী তেল, মাছ, মাছের তেল এবং সয়াবিন- এগুলো খেলে হৃদরোগের আশঙ্কা অনেকটাই কমে। এছাড়াও অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন শাক, সবজি, ফল কোলেস্টেরল বিপাকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ইমিউন প্রতিক্রিয়া, প্রদাহ ও রক্ততঞ্চন নিয়ন্ত্রণ করে।

চিকিৎসকেরা মনে করেন, নিয়মিত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালন, শরীরচর্চা, যোগাসন, ব্যায়াম, জোরে হাঁটা- এসবের মাধ্যমে কোলেস্টেরলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে অনেকটা দূরে থাকা যায়। সুস্থ মন, সুস্থ শরীর পেতে হলে জীবনযাপনের ধরনে পরিবর্তন আনতে হবে, পাল্টাতে হবে খাদ্যাভ্যাসও।

সর্বশেষ

চকবাজারের কুটুমবাড়িকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

বাকলিয়া এক্সেস রোড়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত : আহত ১০

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা’র প্রভাবে সারাদেশে ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশকে গ্রেপ্তার

মৃত্যুপুরী রাউজান : ১৩ মাসে ১৬ খুন

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print