ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

স্ট্রেস কমাতে ৭ ঘণ্টা ঘুমোন, দিনের আলোয় প্রচার সারুন

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

নির্বাচনের ঘণ্টা বেজে যাওয়ার পর সব দলের প্রার্থীদের রাতের ঘুম লাটে ওঠার জোগাড়!‌ দিন–রাত এক করে সমস্ত দলের প্রার্থীরা ভোটের প্রচারে নেমে পড়েছেন। যত দিন এগিয়ে আসছে, টেনশনের পারদ চড়ছে প্রার্থীদের। মুখে না–‌বললেও, কারও কারও দুশ্চিন্তার মাত্রা এতটাই বেশি যে রাতে ঠিকমতো ঘুমোচ্ছেন না। কেউ আবার মাঝরাতে উঠে পড়ছেন। এই রকম অবস্থা হলে শরীরের পক্ষে তা মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোনোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। দিনে অন্তত ৬/‌৭ ঘণ্টা ঘুমোনোর নিদান দিচ্ছেন নিদ্রারোগ–‌বিশেষজ্ঞরা। তঁাদের মতে, সকাল–‌সকাল যতটা সম্ভব প্রার্থীদের প্রচার ও জনসভাগুলি সেরে নেওয়া দরকার। কারণ সন্ধের পর প্রচারে নামলে চড়া কৃত্রিম আলোর ক্ষতিকর প্রভাবে পর্যাপ্ত ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে।
ওয়ার্ল্ড স্লিপ সোসাইটির আঞ্চলিক কোঅর্ডিনেটর এবং বিশিষ্ট নিদ্রারোগ–‌বিশেষজ্ঞ ডাঃ সৌরভ দাস বলেন, ‘নির্বাচন চিন্তার বিষয় ঠিকই, কিন্তু স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখাটাও জরুরি। ‌নির্বাচন মানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। স্বাভাবিক ভাবেই স্ট্রেস থাকবে। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুম চাই। নিজেকে সেটা বুঝে সময় বের করে নিতে হবে। আদর্শ ঘুমের সময় রাত ১০–১১টার মধ্যে হওয়া উচিত। দলের প্রচার কৃত্রিম আলোর তুলনায় দিনের আলোয় সেরে ফেললে ভাল। কারণ রাতে কৃত্রিম আলোর সামনে বেশিক্ষণ থাকলে শরীরের মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণে বাধার সৃষ্টি হয়। এই হরমোন ঘুম আসতে সাহায্য করে। শরীরে স্বাভাবিক ভাবে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ না–‌হলে সহজে ঘুম আসে না। স্ট্রেসমুক্ত থাকতেও ঘুম খুব জরুরি। স্ট্রেসমুক্ত থাকতে কর্টিসল হরমোন নিঃসরণ হওয়া দরকার।

ঠিকমতো না–‌ঘুমোলে এই হরমোন ছাড়াও শরীরের অন্যান্য হরমোনের কাজেও ব্যাঘাত ঘটবে।’
অরেঞ্জ স্লিপ অ্যাপনিয়া ক্লিনিকের অধিকর্তা ডাঃ উত্তম আগরওয়াল জানিয়েছেন,‘‌দু–এক দিন কম ঘুম হলে খুব–‌একটা প্রভাব পড়ে না। কিন্তু টানা অনেক দিন অপর্যাপ্ত ঘুমের দরুন স্লিপ ডেপ্রিভেশন হয়। অর্থাৎ ঘুমের প্রয়োজন অথচ ঘুমোনোর সময় হচ্ছে না। ফলে মস্তিষ্কে প্রভাব পড়ে। ফলে ক্লান্তি, ওজন হ্রাস, অমনোযোগী হয়ে পড়া, খিটখিটে মেজাজ, রোগ–‌প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া— এই সব দেখা যায়। ভাল ঘুম চাইলে সময়টা মেনে ঘুমোনো জরুরি।’‌

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে
স্ট্রেস বাড়বে
ক্লান্তি ভাব, খিটখিটে মেজাজ, কাজের গতি কমে যাবে
হরমোনের কাজে ব্যাঘাত ঘটবে
মানসিক অশান্তি বাড়বে
পরিশ্রম করতে পারবেন না, তাড়াতাড়ি রেগে যাবেন
ভুলে যাবেন

ভাল ঘুম চাইলে
রাত ১০–১১টার মধ্যে ঘুমোতে যান
টানা অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমোন
কৃত্রিম আলো এড়িয়ে চলুন
ভাল ঘুমে স্ট্রেস কমবে, স্মৃতিশক্তি বাড়বে, মুড ভাল থাকবে
ডিপ্রেশন, উদ্বেগ কমবে

ভাল ঘুমে দরকার
অল্প প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যালশিয়াম, আয়রন, কার্বোহাইড্রেট–‌সমৃদ্ধ সহজপাচ্য খাবার
ঘুমের আগে পেট–‌ভর্তি খাবার নয়
প্রচুর চেল, ঘি, চর্বি, মশলাযুক্ত খাবার বর্জন
শরীরে জলের পরিমাণ ঠিকঠাক চাই
অনেকক্ষণ খালি পেটে থেকে একবারে বেশি পরিমাণ খেলে ঘুমে সমস্যা হবে

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print