ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

পরীক্ষার মরশুমে কীভাবে পড়ুয়াকে অতিরিক্ত চাপ থেকে বাঁচাবেন

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

মাধ্যমিক হয়ে গিয়েছে, কদিনের মাথায় শুরু হয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষার ভরা মরশুমে পড়ুয়াদের তো চাপ আছেই, চাপ রয়েছে অভিভাবকদেরও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অত্যাধিক মোবাইল ফোন, ল্যাপটপের মতো গেজেটের ব্যবহার মাথার উপর আরও চাপ তৈরি করছে। পড়ুয়াদের পড়াশোনায় মন বসাতে এসবের ব্যবহারের কারণেই অনেকটা চাপে পড়তে হচ্ছে। অভিভাবকারও আতঙ্কে ভুলে যাচ্ছেন, প্রতিটি পড়ুয়ার কিছু শক্তিশালী দিক থাকে, কিছু দুর্বল দিক থাকে। সব বিষয়ে শিক্ষক না দিয়ে, দুর্বল বিষয়গুলিতে যদি শিক্ষক নিয়োগ করা যায়, তাহলে চাপ অনেকটাই কমে। আগ্রহের বিষয়গুলি নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই প্রস্তুতি নিতে পারে। তাতে বাড়বে আত্মবিশ্বাসও। আরও কী করলে চাপ কমবে, উপদেশ দিলেন আনন্দপুর ফর্টিস হাসপাতালের কাউন্সেলিং মনোবিদ ভাবনা দামানী বাজোরিয়া।
১. অতিরিক্ত চাহিদা: মানুষ মাত্রই নানাবিধ চাহিদা থাকবে। এক মানের ফলাফলের পর তার থেকে আরও উন্নতি করার কথা যেমন পড়ুয়াটি ভাবে, তেমনই আশায় বুক বাঁধেন অভিভাবকরাও। আর সেই আশা কখন আকাঙ্খায় পরিণত হয়, তা তাঁরা বুঝতেও পারেন না। এই আকাঙ্খা কখনই যাতে মাত্রাছাড়া না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে অভিভাবকদের।

২.তুলনা: অন্য ছাত্রছাত্রীদের বা বন্ধুদের ফলাফলের সঙ্গে তুলনা করা মানসিক চাপ বাড়ার অন্যতম আরেকটি কারণ। বারবার অন্য বন্ধুর ফল কত ভাল হয়েছে, সেটা উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরলে পড়ুয়াটি তো উৎসাহ পাবেই না, বরং তাঁর উপর প্রবল একটি চাপ তৈরি হবে। এটা কখনই উৎসাহ দেওয়ার বা বৃহত্তর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করার কোনও মাধ্যম হতে পারে না।

তাহলে ছাত্রছাত্রীদের কীভাবে উৎসাহ দেবেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা?‌

১. আপনি নির্দেশ না দিয়ে বন্ধুর মতো পরামর্শ দিন। পড়ুয়াটির ভাল লাগা, খারাপ লাগা শুনে, তাঁর ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে পড়াশোনার একটি রুটিন তৈরি করুন। কখন কী পড়তে হবে, সেটা পড়ু্যার সঙ্গে কথা বলে ঠিক করুন।

২.‌ পরীক্ষা বলে বাড়িতে একটা টেনশনের পরিবেশ তৈরি করা রাখা কিন্তু বোকামি। বরং সাধারণ আর পাঁচটা দিনের মতোই বাড়ির পরিবেশকে রক্ষা করুন। পড়ুয়াটির এতদিনের রুটিনে খেলাধুলা, ছবি আঁকা বা অন্য কোনও অভ্যাসের জন্য যে সময় থাকে সেটা রাখতে দিন। পরীক্ষার আগে সময় কিছুটা কমিয়ে দিতে পারেন, কিন্তু একেবারে বন্ধ করে দেবেন না।

৩. প্রত্যেকটি পড়ুয়াই চায় ভাল ফল করতে। সেই নিয়ম অনুসারে তারা যথেষ্ট খাটনিও করে। তাই অভিভাবকদের উচিত, ফলের জন্য অপেক্ষা না করে পড়ুয়াটির খাটাখাটনিকে স্বীকৃতি দেওয়া। তাহলে আর যাই হোক, সে ভিতরে ভিতরে অনেকটাই শক্তি সঞ্চয় করতে পারবে।

৪. পরীক্ষার আগের দিন যাতে যথেষ্ট বিশ্রাম আর যথেষ্ট ঘুম হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। পরীক্ষার হলে পড়ুয়াটি যেন একেবারে তরতাজা শরীর নিয়ে যেতে পারে।

৫. কদিন রাস্তার খাবার, জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুড পড়ুয়াকে না দেওয়াই ভাল। বাড়ির তৈরি সহজপাচ্য খাবার দিন, তাতে শরীর ভাল থাকবে। আর দুপুরে বা রাতে একা একা না, পরিবারের সঙ্গে যাতে সে খেতে বসে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। তাতে পড়াশোনার মাঝে আড্ডার ছুটিও সে পেয়ে যাবে।

❏‌ ঠিক পরীক্ষার আগে.‌.‌.‌.‌
পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে যাতে পড়ুয়াটি পেট ভরে খাবার খেয়ে যেতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। পরীক্ষার আগে সবাই চাপে থাকে। তাই কয়েক ঘণ্টা আগে আবার রিভিশন দেওয়ার কথা বললে পড়ুয়ার উপর চাপ বাড়বে। বরং, অভিভাবক যদি কোচের মতো কিছুটা পেপ টক দিয়ে দেন, তাহলে খোলা মনে পড়ুয়া পরীক্ষা দিতে পারবে।
পরীক্ষা দিয়ে আসার পর আর তা নিয়ে আলোচনা করার দরকার নেই। একটু আধটু জানতে পারেন, বেশি কিছু জানতে হবে না। পড়ুয়াকে পরের পরীক্ষার বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে আবেদন করুন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print