t ব্রণর দাগ থেকে সহজ মুক্তি – পাঠক নিউজ

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ব্রণর দাগ থেকে সহজ মুক্তি

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বয়ঃসন্ধির সময় সাধারণত ছেলে বা মেয়ে উভয়েরই ব্রণ হয়। মুখে গুটির আকারে হলেও অনেকের কাঁধ এবং পিঠেও ব্রণ হয়। ব্রণ হলে সামান্য ব্যথা হয়

ব্রণর চিকিৎসা কী?
ডাঃ সরকার:‌ সংক্রমণ থেকে দূরে থাকাই ব্রণর মূল চিকিৎসা। তাই সাধারণ সাবান দিয়ে বারবার মুখ ধুতে হবে। পুঁজভর্তি ব্রণ হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ডক্সিসাইক্লিন, ক্লিনডামাইসিন, এজিপ্রোমাইসিন ইত্যাদি অ্যান্টিবায়োটিক নির্দিষ্ট ডোজ মেনে খেতে হবে ও মুখে ক্লিনডামাইসিন ক্রিম লাগাতে হবে। আক্রান্ত স্থানে হাত লাগানো চলবে না। হাত দিয়ে ঘাঁটলে মুখে কালো দাগ ও গর্ত হবে।
ব্রণর দাগ বা গর্ত সারানোর উপায় কী?
ডাঃ সরকার:‌ কেমিক্যাল পিলিংয়ে ব্রণর দাগ চলে যায়, মুখের পিগমেন্টেশনও কমে। এর জন্য স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, ল্যাকটিক অ্যাসিড বা গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ব্যবহার করলে নতুন ব্রণ ওঠা বন্ধ হয় ও পুঁজভর্তি ব্রণর প্রাদুর্ভাব কমায়। কেমিক্যাল পিলিং করতে ২ সপ্তাহ অন্তর ৫–‌৭টি সিটিং দিতে হয়। এ ছাড়া সার্জারিও করা হয়।

ব্রণর দাগ সারাতে সার্জারি?
ডাঃ সরকার: তেমন বড় কোনও সার্জারি নয়। কমিডন এক্সট্র্যাক্টরের সাহায্যে কালো মাথার ব্ল্যাক হেডস থেকে পুঁজ বের করে দেওয়া হয়। ছোট গর্তের জন্য সাবসিশন ও পাঞ্চ টেকনিক কাজে লাগে। চিকিৎসকের চেম্বারে বসেই এ সব করা যায়। সামান্যই রক্তপাত হয়।

ঠিক কী করা হয়?
ডাঃ সরকার: স্পিরিট বা বিটাডিন দ্রবণে ভালভাবে মুখ পরিষ্কার করিয়ে সাবসিক্সন পদ্ধতিতে খুব সরু ২৪ গজ সূঁচ পাশ দিয়ে ঢুকিয়ে গর্তের তলায় ঘোরানো হয়। এতে গর্তের চামড়ার ওপরের স্তর আলগা হয়ে তলায় রক্ত ও সিরাম জমে কিছুটা ফুলে ওঠে। ইনফ্ল্যামেশনের জন্য নতুন করে কোলাজেন তৈরি হয়। পাঞ্চ টেকনিকে বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে ব্রণর গর্তের চারদিকে গোল করে কাটা হলে মাঝের অংশটি সাবসিশনের মতো ভেসে ওঠে।

অন্য কোনও পদ্ধতি?
ডাঃ সরকার: ডার্মারোলার ও লেজারের ব্যবহারও আছে। ব্রণ হওয়ার পরে নখ দিয়ে খুঁটলে গালে গর্ত হয়ে সমস্যা হতে পারে। ডার্মারোলার বা লেজার চিকিৎসায় এর সমাধান সম্ভব। ডার্মারোলার দিয়ে চিকিৎসা শুরুর ৩০ মিনিট আগে মুখে প্রাইলোকেন অ্যানেস্থেটিক ক্রিম লাগানো হয়। চামড়া কিছুটা অসাড় হতে শুরু করলে ডার্মারোলারের কাজ শুরু হয়। এটি একটি ছোট রোলার, যার গায়ে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের ০.৫–‌১.৫ মিমি কাঁটা লাগানো থাকে। যতক্ষণ অবধি না ছোট ছোট রক্তবিন্দু দেখা দিচ্ছে, ততক্ষণ রোলার দিয়ে মুখের ওপরে বারবার ঘষা হয়। মাসে একবার করে এরকম ‌‌৪‌–‌‌৫ বার করার পরে মুখে সানস্ক্রিন ও অ্যান্টিবায়োটিক মলম লাগিয়ে দেওয়া হয়। মুখের ক্ষত সারার সময়ে চামড়া কিছুটা টান হলে নীচের ডারমিস স্তরের কোলাজেনে তন্তু তৈরি হয়। তাতে মুখের দাগ অনেকটাই মিলিয়ে যায়।

আর লেজার?
ডাঃ সরকার: লেজার বলতে ফ্র্যাকশনাল কার্বন ডাই অক্সাইড লেজারের কথা বলা হচ্ছে। এর কাজের ধরন অনেকটা একই রকম। তবে এতে ফল হয় ভাল। লেজার করার পরে মুখে হওয়া ছোট ছোট কালো স্পট দিন দশেকে পরিষ্কার হয়ে যায়। নতুন কোলাজেন তৈরি হওয়ার জন্য ত্বক কিছুটা পুরু বা মোটা হয় এবং টানটান হয়ে ওঠে।

সর্বশেষ

চকবাজারের কুটুমবাড়িকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

বাকলিয়া এক্সেস রোড়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত : আহত ১০

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা’র প্রভাবে সারাদেশে ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশকে গ্রেপ্তার

মৃত্যুপুরী রাউজান : ১৩ মাসে ১৬ খুন

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print