t রাজশাহীর পবায় নিষেধাজ্ঞা না মেনে পুকুর খননের হিড়িক – পাঠক নিউজ

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

রাজশাহীর পবায় নিষেধাজ্ঞা না মেনে পুকুর খননের হিড়িক

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

রাজশাহীর পবা উপজেলায় আবারও শুরু হয়েছে পুকুর খননের মহোৎসব। সরকারিভাবে পুকুর খনন নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানছেন না কিছু প্রভাবশালীরা। শস্য ভান্ডারখ্যাত রাজশাহীর পবা উপজেলার কর্ণহার থানাধীন বড়বিলে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ফসলী জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খননের মহোৎসব চলছে। প্রায় ৩০০ বিঘা বিল এখন পুকুর! আগে যেখানে ফসলের আবাদ হতো, এখন তা পুকুরে রূপান্তরিত হয়েছে। পুকুর খননের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় জনমনে নানা প্রশ্ন ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সম্প্রতি পুকুর খননে বাধা দিলে খননকারী শ্রমিকরা একজনকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আহত ব্যক্তির নাম ফিরোজ আহমেদ রানা।  এসময় রানার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে তারা।  গত ২১ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পবার ভালাম ঠাকুরপুকুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আহত ফিরোজকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ পুকুর খননের মাটি বহনের কারণে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। এতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে গ্রামীণ পাকা রাস্তাগুলো। হালকা বৃষ্টি হলে পাকা রাস্তা কাঁদা হয়ে প্রতিনিয়ত হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনা। রাজশাহীর পবা উপজেলার ফলিয়ার বিল, হুজুরীপাড়ার কর্ণহার বড়বিল ক্ষত-বিক্ষত পুকুর খননে। সরকারি খাল দখলে নিয়ে আবারও শুরু হয়েছে পুকুর খনন।

হুজুরীপাড়ার কর্ণহার বড়বিলের মধ্যে সুইচ গেট থেকে বাগধানী সুইচ গেট পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটারের খাল আছে। এর আগেই কর্ণহার বড়বিলের পানি নিষ্কাশনের খাল দখলে নিয়ে তেঁতুলিয়া গ্রামের লিটন আলী পুকুর খনন করেন। পাশাপাশি আরও পুকুর খনন করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী পশ্চিমপাড়ার মিনারুল ইসলাম ও দারুশার মতি হাজী ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, কর্ণহার থানায় মোটা অংকের টাকা দিয়ে দিনে-দুপুরে পুকুর খনন চলছে। এর আগে অভিযানের পরে কিছু দিন পুকুর খনন বন্ধ রাখলেও রাতের অন্ধকারে পুকুর খননের কাজ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া,কর্ণহার থানার সেকেন্ড অফিসার শামীমকে ম্যানেজ করে দিনে-দুপুরে পুকুর খনন করছেন প্রভাবশালীরা। ভাম্যমণ আদলত অভিযানে আসার আগেই সেকেন্ড অফিসার শামীম প্রভাবশালীদের মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেয় এতে করে পুকুর খনন বন্ধ হচ্ছে না। তেঁতুলিয়ার সুন্দলপুর ঘোষপুকুরে পুকুর খনন করছেন রাহিদুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া জোড়গাছার মাঠে পুকুর খনন করছেন শাহজাহান আলী।

.

পুকুর খননের কারণে গ্রামে গ্রামে একদিকে জলাবদ্ধতা এবং অন্যদিকে গ্রামীণ রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, সরকারি আইন অমান্য করে ভূমির আকার পরিবর্তন না করে পুকুর খননে সাহস জোগাচ্ছেন রাজনৈতিক দলের কিছু নেতারা। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পুকুর খননে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিজমি। ফলে বর্ষা মৌসুমে খেতের মাঠে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। পুকুর সংলগ্ন প্রান্তিক ও বর্গাচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পুকুর খননের মাটি বহনের কারণে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক।

এদিকে স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলদারিত্ব ও অবৈধভাবে পুকুর খননে দেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে উপজেলার হুজুরীপাড়ার কর্ণহার বড়বিল। জলবায়ু পরিবর্তন ও বিলের মাঝে যত্রতত্রভাবে পুকুর খননের কারণে সংকুচিত হয়ে ঐতিহ্যবাহী বড়বিল তার যৌবন হারিয়ে ফেলছে। হুমকির মুখে পড়েছে বড়বিলের জীববৈচিত্র্য।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলমগীর কবির জানান, যারা অবৈধভাবে পুকুর খনন করছে, তাদের বিরুদ্ধে সব সময় অভিযান চালানো হচ্ছে। খননযন্ত্র জব্দ করা হচ্ছে। অভিযোগ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ

চকবাজারের কুটুমবাড়িকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

বাকলিয়া এক্সেস রোড়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত : আহত ১০

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা’র প্রভাবে সারাদেশে ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশকে গ্রেপ্তার

মৃত্যুপুরী রাউজান : ১৩ মাসে ১৬ খুন

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print