ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চমেক হাসপাতাল যেন মীরসরাইয়ের রোগীদের আঁতুড়ঘর!

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

নুরুল আলমঃ  
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এখন মীরসরাইয়ের রোগীদের আঁতুড়ঘর। একজনের খোঁজ নিতে গেলে দেখা মিলে আরেকজনের। একজনের পাশে অন্যজনের কান্নার বিলাপ, চিৎকার, বেঁচে থাকার আকুতি- মিনতি। খোঁজ নিলে জানা যায় বাড়ী মীরসরাই।

রোগীদের কষ্ট, চিৎকার শুনে হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণ হয়,চোখে জল এসে যায় । আমরা আল্লাহর কত নেয়া মতের শোকর আদায় করিনা। সুস্থ্যতা মহান আল্লাহর এক বিশাল নেয়ামত। অসুস্থ্যতা হলো মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য পরিক্ষা। এ জন্য সুস্থ্য সবল স্বচ্ছল যারা তারা অভাবী অসুস্থ্যদের সহায়তা করে নিজের সুস্থ্যতার ব্যবস্থা করেন।

ইছাখালী ইউনিয়নের টেকেরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী ইমা ট্রাক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মেডিকেলে ভর্তি। আমরা তার চিকিৎসার অর্থ সংগ্রহ করার জন্য কাজ করছি। তার জন্য হৃদয়বান মানুষগুলো ব্যাপকভাবে সাড়া দিয়েছেন। তার চিকিৎসার জন্য এখন অর্থ সমস্যা নয়। তাকে দেখতে মেডিকেল গিয়ে দেখা হয় আরেকজন ট্রাক দুর্ঘটনায় আহত তিন সন্তানের মা ছলিমা আক্তারের সাথে।

মীরসরাইয়ের ৩নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের মামা ফকির মাজারের পাশে তার বাড়ী (ডাক্তার বাড়ী)। স্বামী জয়নাল সামান্য বেতনে সোনাপাহাড় ওমেরা গ্যাস কোম্পানিতে বাবুর্চির কাজ করেন। স্বামী- স্ত্রী অভাবের সংসারে তিন সন্তানের ভরনপোষণের ব্যবস্থা করতে দিনরাত পরিশ্রম করেই যাচ্ছে জয়নাল- ছলিমা। দুঃখ- কষ্টে তাদের সারা বছর যায়। ঈদেও তাদের ঘরে আসেনা সুখের আনন্দ উৎসব। একটু ভালো থাকা, একটু ভালো খাওয়া এসব তারা ভুলেই গেছে। একমাত্র ছেলে রিয়াজ পবিত্র কোরআনে হাফেজ। এখন কিতাব বিভাগে ওয়ার্লেস দারুল উলুম মাদ্রাসায় বিনা বেতনে পড়ছে ।

দেড়মাস আগে ১৫ রমযান ২১মে দুপুরবেলা ছলিমা আক্তার জোরারগঞ্জ থেকে বাড়ী ফেরার পথে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হন। ছলিমার যে দুটি পা সংসারে ৫ জনের আহার যোগাতো, সেই পা দুটি কেড়ে নিলো ঘাতক ট্রাক। চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল ভর্তি হন। ঘরে চাল কিনার টাকা নেই,মেডিকেলে ঔষুধ কিনবে কি দিয়ে। আশা ব্যাংক থেকে ৪০হাজার টাকা ঋন করে খরচ করেন মেডিকেলে। অল্প ক’ দিনেই সে টাকা শেষ হয়ে যায়। যে ঘরে সন্তানদের কষ্ট একমাত্র মা- ই বুঝতো। জলে ভিজে যেতো মায়ের চোখ। এখন মা আছে,দুটি পা নেই মায়ের।

মায়ের শোকে ছোট ছোট সন্তানরা মায়ের দিকে চেয়ে অসহায় দৃষ্টিতে কাঁদছে। কে নিবে মায়ের খবর। কে বুঝবে মায়ের কষ্ট। চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি হয়ে ৫ম তলায় ২৬ নং ওয়ার্ডের ১৩/এ সিটে ১মাস ১৫দিন থেকে শুধু দিন গননায় সংখ্যা বেড়েছে ছলিমা আক্তারের । সুস্থ্য না হয়ে ডাক্তারের ছাড়পত্র হাতে পেয়ে বাসায় ফিরেছে গত তিনদিন আগে। অভাবের ঘরে ছলিমা ফিরে আসার পর ঔষুধ, চিকিৎসা টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে ।

মা কাঁদছে তার পা হারিয়ে। এমন কোন বিত্তবান সন্তান কি নেই, মায়ের চোখে জ্বল মুছে শান্তনা দিবে।

লেখকঃ নূরুল আলম, সাংবাদিক।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print