ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

কাপ্তাইয়ে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছে মা-মেয়ে

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

আলমগীর মানিক,রাঙামাটি
পাহাড়ের গহীন অরন্যে সশস্ত্র তৎপরতায় লিপ্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন মারমা লিবারেশন পার্টি এমএলপি’র রাজনীতি ছেড়ে আসা জামাই শ্বশুরকে নাপেয়ে তাদের স্ত্রী-কন্যাকে গুলি করে হত্যা করেছে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাইখালী ইউনিয়নের গবাছড়ার আগাপাড়া এলাকা থেকে নিহত মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ। নিহতরা নিহতরা হলেন: ম্রা সাং খই মারমা(৬০) স্বামী : কং সু ইউ মারমা, ও তার মেয়ে মে সাংনু মারমা(২৯) স্বামী: হ্লা সিংউ মারমা। রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ছুফি উল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, কে বা কাহারা ঠিক কি কারনে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে সে ব্যাপারে পুলিশ কাজ করছে।

.

এদিকে নিহতদের লাশ মঙ্গলবার বিকেলে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে আনে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ। লাশের ময়না তদন্ত শেষে তাদের স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এদিকে স্থানীয়রা পাহাড়ি সন্ত্রাসী গ্র“প মারমা লিভারেশন পার্টি’ এমএলপি’র ভয়ে এই হত্যাকান্ডের ব্যাপারে পুলিশকে কোনো ধরনের তথ্য দিচ্ছেনা এবং গবাছড়া এলাকাবাসী চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়ে নিহত মা-মেয়ে উভয়ের স্বামী ইতিপূর্বে মারমা লিবারেশন পার্টি ”এমএলপি’র সক্রিয় সদস্য ছিলো। সম্প্রতি তারা সেই দলটি ত্যাগ করে পাহাড়ের একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলে যোগ দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এমএলপি’র সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা রাতের অন্ধকারে তাদের বসতঘরে হামলা চালিয়ে মা-মেয়েকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।

একটি সূত্র জানিয়েছে, সন্ত্রাসীদের গুলির শব্দ শুনে পার্শ্বোক্ত এলাকায় টহলরত সশস্ত্র অপর একটি গ্রুপ গবাছড়া এলাকায় এসে এমএলপি’র সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকলে এমএলপি’র সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

রাঙামাটির রাজস্থলী, কাপ্তাই ও বিলাইছড়ি উপজেলার গহীন অরন্যে সম্প্রতি মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি, মারমা লিভারেশন পার্টিসহ অন্তত ৫টি সশস্ত্র গ্রুপ আধিপত্যের লড়াইয়ে লিপ্ত রয়েছে। মূলতঃ চাঁদাবাজি আর অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে এসব গ্রুপগুলোতে স্থানীয় পাহাড়ি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজনকে জোর করে ভর্তি করা হয়। এদেরকে গেরিলা সামরিক ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়। এরাই নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে প্রায় সময়েই সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print