ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চিনি শুধু ক্যানসার বাড়ায় না, ক্যানসারও তৈরি করে

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

একদিকে চকলেট, আইসক্রিম, চুইংগাম, ললিপপ, টফিসহ হাজারো রকম ক্যান্ডি, অন্যদিকে সন্দেশ, হালুয়া, চমচম, রসগোল্লা, ফিরনি, সেমাই, পায়েশসহ নানারকম মণ্ডামিঠাই আর পিঠাপুলি তো আছেই। মিষ্টি খাবার ছোটবড় যে কোনো বয়সের মানুষেরই কমবেশি প্রিয়।

অনেকের তো দুপুর আর রাতের খাবারের পর মিষ্টি না খেলে খাওয়াই সম্পূর্ণ হয় না! অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার খেয়ে খেয়ে ওজনের সাথে সাথে কাপড়ের সাইজ লেখা নম্বরটাও দিন দিন বাড়তে থাকে।

কিন্তু আপনি কি জানেন, ভীষণ লোভনীয় এসব মিষ্টি খাবারে থাকা উচ্চমাত্রার পরিশোধিত চিনি শুধু ওজনই বাড়ায় না, ক্যানসার রোগীদের দেহে টিউমার বেড়ে ওঠার সঙ্গে এর সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। শুধু তাই নয়, গবেষণায় দেখে গেছে, অতিরিক্ত চিনি খেলে তা থেকে সুস্থ মানুষেরও হতে পারে ক্যানসার!

ক্যানসার কোষ যেভাবে চিনিকে কাজে লাগায়
মানব দেহে জন্ম নেয়া ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষগুলো অন্য যে কোনো স্বাভাবিক কোষের চেয়ে দ্রুত এবং অস্বাভাবিক হারে বেড়ে ওঠে। এই বৃদ্ধি প্রক্রিয়ায় সুস্থ কোষের তুলনায় ১০ থেকে ১২ গুণ বেশি চিনি গ্রহণ করে এই কোষগুলো।

‘পজিশন ইমিশন টমোগ্রাফি’ ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি পরিমাপের সবচেয়ে নিখুঁত প্রক্রিয়ার একটি। এই প্রক্রিয়ার সাহায্যেই হিসেবটি বের করা হয়।

জার্মান চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও গবেষক অটো হেনরিখ ওয়ারবার্গ গবেষণালব্ধ একটি তত্ত্বে বলেন, সুস্থ কোষের তুলনায় ক্যানসার কোষগুলোর শক্তি শোষণ ও ব্যবহারের পদ্ধতি ভিন্ন। মানবদেহে স্বাভাবিক কোষের তুলনায় ম্যালিগন্যান্ট টিউমার, অর্থাৎ ক্যানসারের পরিণত হচ্ছে এমন টিউমারের কোষে গ্লাইকোলাইসিস (দেহের ভেতর চিনি জাতীয় দ্রব্য ভেঙে শক্তিতে পরিণত করার রাসায়নিক প্রক্রিয়া) অনেক বেশি হয়।

এই তত্ত্বের জন্য ১৯৩১ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ডা. ওয়ারবার্গ। তারই তত্ত্বটি পরে ‘পজিশন ইমিশন টমোগ্রাফি’ পদ্ধতিতে প্রমাণিত হয়।

চিনি যেভাবে তৈরি করে ক্যানসার কোষ
‘জার্নাল অব ক্লিনিক ইনভেস্টিগেশন’ সাময়িকীতে ২০১৩-২০১৪ সালের সংস্করণে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশি পরিমাণ গ্লুকোজ (চিনি) গ্রহণের সঙ্গে ক্যানসার কোষ উৎপাদনের প্রাথমিক পর্যায় দ্রুত শুরু হওয়ার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।ক্যানসার-চিনি

চিনি এবং ফ্যাট ভাঙার প্রক্রিয়া একেবারে আলাদা। শরীরে যখন চিনির কোষ ভাঙে তখন ফ্রি র‌্যাডিক্যাল বা মুক্ত মৌল তৈরি হয়। সেগুলো কোষের মাইট্রোকন্ড্রিয়া এবং কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াসের ডিএনএ’কে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কোষের বাইরের পর্দারও ক্ষতি হয়।

ক্যানসার মূলত সৃষ্টি হয় জিনগতভাবে পরিবর্তিত কোষের বিভাজনের মাধ্যমে নতুন ত্রুটিপূর্ণ কোষ তৈরির মধ্য দিয়ে। বেশি বেশি চিনি খেলে ওপরের পদ্ধতিতে বেশি সংখ্যক কোষ ও ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেগুলো বিভাজিত হয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় জন্ম নেয় ক্যানসার।

তাই বলে কি ফলে থাকা চিনিও বাদ?
না। ২০১৩-২০১৪ সালের ওই গবেষণা প্রতিবেদনে পরিশোধিত চিনি এবং প্রাকৃতিক চিনির মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য দেখিয়েছে। পরিশোধিত চিনি বলতে আমরা যে প্যাকেটজাত চিনি খাই সেগুলো থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবারে যেসব চিনি থাকে সবগুলোকেই বোঝায়।ক্যানসার-চিনি

আর প্রাকৃতিক চিনি মানে ফলমূল, মিষ্টি সবজি, মধুতে থাকা চিনি। এই চিনি আলাদা খাওয়া চিনির চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ এবং সঙ্গে ফলের ফাইবার থাকার কারণে ক্ষেত্রবিশেষে উপকারীও।

তাই চিনি থেকে সাবধান! আপনার সামান্য আত্মনিয়ন্ত্রণ কমাতে পারে ক্যানসারের ঝুঁকি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print