
সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নাম ব্যবহার করে পুলিশের চাকুরি দেয়ার কথা বলে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার এবং ধর্ষিতা তরুণী (২৪)কে উদ্ধার করেছে।
তারা হল-মো. মহব্বত আলী (২৮) ও শাহাদাত হোসেন রাজু (৩১)।

গ্রেফতারকৃত এই দুইজন সম্প্রতি ট্রাফিক পুলিশের সদস্য (টিএসআই) কাসেমের ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করতো।
আজ মঙ্গলবার ভোরে নগরীর ডবলমুরিং থানার ঈদগাঁ কাচাঁবাজার, ঝর্ণাপাড়ার ডেবারপাড় ও চারিয়াপাড়া এলাকার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সদীপ দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, চাকুরী দেয়ার কথা বলে রাঙ্গামাটি থেকে মেয়েটিকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসে একটি চক্র। তাকে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। আমরা অভিযান চালিয়ে জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে, ধর্ষিতা এই তরুণী নগরীর পাঁচলাইশ থানার পুলিশ কনেষ্টেবল জহির পাটোয়ারীর স্ত্রী।
স্বামী- স্ত্রীর বিরোধের সুযোগ নিয়ে আসামী শাহাদাত হোসেন রাজু তরুণীটিকে পুলিশের চাকুরীসহ বিভিন্ন লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে তার কাছে নিয়ে যায় এবং কিছুদিন আগে নগরীর আগ্রাবাদ চৌমুহনীস্থ হক টাওয়ার (আবাসিক হোটেল) নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তার বন্ধু মো. মহব্বত আলীকে দিয়ে দেয় তরুণীকে।
মহব্বত আলী তাকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বাসা খুঁজতে থাকে।
গতকাল সোমবার ঈদগাঁ ঝর্ণা পাড়া এলাকায় বাসা খুঁজতে গিয়ে এলাকার নারীদের সে তার কাহিনী বলে দেয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ও মো. মহব্বত আলীকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তিতে কৌশলে তাকে দিয়ে ফোন করিয়ে রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার চারিয়া পাড়া এলাকা থেকে দুই ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া ডবলমুরিং পুলিশে এস আই অর্ণব বড়য়া।
তিনি জানান, আসামী শাহাদাত হোসেন রাজু মেয়েটিকে প্রলোভন দেখায় যে তার সাথে যোগাযোগ মন্ত্রীর সাথে সম্পর্ক আছে, মন্ত্রীকে বলে তাকে কনেষ্টেবল হিসেবে চাকুরী দেবে।