ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

আদালতে বিচারকের সামনে আসামির ছুরিকাঘাতে অপর আসামী নিহত (ভিডিও)

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

কুমিল্লা আদালতে বিচারকের খাস কামরায় বিচার কাজ চলাকালে এক আসামির ছুরিকাঘাতে অপর আসামী নিহত হয়েছে।  নিহত যুবকের নাম ফারুক (২৮)। ফারুক মনোহরগঞ্জ উপজেলার অহিদুর রহমানের ছেলে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘাতক হাসানকে আটক করেছে। তারা উভয়ই একটি হত্যা মামলার আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

.

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার ৩নং আমলি আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতে বিচারক ফাতেমা ফেরদৌসের সামনে বিচার কাজ চলাকালে আসামি লাকসাম বোসপাড়ার শহিদুল্লাহ ছেলে হাসানের ছুরির আঘাতে তার মামলার বাদী মনোহরগঞ্জের অহিদুল্লার ছেলে ফারুক (২৮) নিহত হন। হাসান ও ফারুক মনোহরগঞ্জ থানার জিআর ৮৩/১৩ ও এসটি ২০২৭/১৫ হত্যা মামলার আসামী।বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার পিপি এডভোকেট নুরুল ইসলাম।

কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ফারুককে অপর এক আসামি ছুরিকাঘাত করার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এতো নিরাপত্তার মাঝেও আসামির ছুরি নিয়ে আদালতে প্রবেশের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মামলার আইনজীবী এপিপি নুরুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের কান্দি গ্রামে হাজী আবদুল করিম হত্যার ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার ওই মামলার জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরার দিন ধার্য ছিল। বেলা ১১টার দিকে এ মামলার আসামিরা আদালতে প্রবেশের সময় ৪নং আসামি ফারুককে ছুরি নিয়ে তাড়া করে ৮নং আসামি হাসান। এ সময় জীবন বাঁচাতে ফারুক বিচারকের খাস কামরায় প্রবেশ করেন। সেখানে হাসান প্রবেশ করে টেবিলের উপর ফেলে ফারুককে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তাকে ওই কক্ষের ফ্লোরে ফেলেও আঘাত করা হয়।

আদালতে অন্য একটি মামলার হাজিরা দিতে আসা কুমিল্লার বাঙ্গরা থানার এএসআই ফিরোজ এগিয়ে গিয়ে হাসানকে আটক করে।

এ সময় আদালত কক্ষে বিচারক, আইনজীবী ও অন্য আসামিদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সবাই ভয়ে ছুটাছুটি শুরু করেন। গুরুতর আহত ফারুককে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এসময় আদালতে থাকা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বিচারক বেগম ফাতেমা ফেরদৌস বলেন, আমার সামনে একজন আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হলো। আমার উপরও হামলা হতে পারতো। আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?

সর্বশেষ

চট্টগ্রাম বন্দর ও কর্ণফূলী নদীতে যৌথ অগ্নিনির্বাপণ মহড়া

আগামী নির্বাচনে বডি ক্যামেরা, সিসিটিভি ও ড্রোন ব্যবহারের চিন্তা করছে সরকার

চুয়েটে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগে শিক্ষার্থী বহিষ্কার

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print