ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

রিয়াজের মৃত্যুঃ হত্যা না আত্মহত্যা?

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

জালালউদ্দিন সাগর :

উনত্রিশ বছরের যুবক রিয়াজ। বাবা-মো জাফর আহম্মদ থাকেন চন্দ্রঘোনা এলাকার বারঘোনিয়া কাটাপাহাড়ে। অক্ষম-অচল বাবা-মায়ের দেখাশুনা করতে তিনবছর আগে বিয়ে করেছিলো বয়সে তার চেয়েও ১০ বছরের বড় পান্না বেগমকে। অন্যের বাসায় খেটে খাওয়া দিনমুজুর এই ছেলেটি কি জানতো এই বিয়েই একদিন কাল হবে তার?

গত ১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে জেলার বাদশা মাঝির ঘোনা,জঙ্গল দক্ষিণ নিচিন্তাপুর,হাসনাবাদের ভাড়া বাসা থেকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় রিয়াজের মরদেহ উদ্ধার করে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে। ঘটনার পর রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি (আত্মহত্যা) ইউডি মামলা করে পুলিশ। মঙ্গলবার চমেকে মরদেহ আনতে দেরি হয়ে যাওয়ায় লাশের ময়নাতদন্ত হয় পরদিন বুধবার।

দাফন শেষে বুধবার রাতে নিহতের বড়ভাই হারুনুর রশীদ রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে মামলার আইও উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানান, যেহেতু ইউডি মামলা হয়েছে সেহেতু হত্যা মামলা করতে গেলে পোস্টমোর্টেম রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে স্বজনদের।
নিহত রিয়াজের বড়ভাই হারুনুর রশীদ অভিযোগ করে বলেন, রিয়াজের হাত, দুই পাসহ শরীরের বিভিন্ন যায়গায় আঘাতের চিহ্ন থাকার পরও অপরাধীদের প্রোরোচনায় ঘটনাকে আত্মহত্যা রূপ দিতে হত্যা মামলা না নিয়ে ইউডি মামলা হিসেবে নিয়েছে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ। তিনি আরও বলেন,আমার ভাই যদি আত্মহত্যাও করে সেক্ষেত্রেও যাদের কারণে আত্মহত্যা করেছে-তাদের বিরুদ্ধেও পুলিশ কোনো অভিযোগ নেয়নি। নেয়নি হত্যা কিংবা আত্মহত্যার প্ররোচোনার মামলাও।

নিহত রিয়াজের প্রতিবেশি, আত্মীয়সজন ও ভাইদের সাথে আলাপ করে যানা যায়, ১৫ জুলাই, সোমবার রাত ১১টার দিকে রিয়াজের স্ত্রী পান্না, শশুর আব্দুর রব, শালা (বউয়ের ছোট দুইভাই) মাসুদ ও বসীর-রিয়াজকে শারীরীক ভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে। পরে কাপড়ের টুকরো গলার সাথে বেধে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে প্রচার করে রিয়াজ আত্মহত্যা করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত রিয়াজের স্ত্রী পান্নার সাথে একই এলাকায় বসবাসরত আলী আকবর খোকা নামে একজনের পরকিয়া সম্পর্ক রয়েছে। মূলত এই পরকিয়া সম্পর্কের কারনে স্ত্রীর সাথে প্রায় সময় ঝগড়া হতো রিয়াজের। সেই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে রিয়াজকে প্রায় সময় শারীরীক ভাবে নির্যাতন করা হতো। এর আগে বেশ কয়েকবার স্থানীয় মেম্বার ও প্রতিবেশিরা রিয়াজকে শারীরীক নির্যাতনের ঘটনা মিমাংসা করেছেন।

হারুনুর রশীদ জানান, আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত মরদেহের ছবি, হাত, পা, গলা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিনহের ছবি দেখলেই বুঝা যায় আমার ভাই আত্মহত্যা করে নি।

হারুনুর রশীদ আরও বলেন,আমার ভাই যদি আত্মহত্যা করতো তা হলে তার পায়ে রশি দিয়ে বেধে রাখার দাগ আসলো কোথা থেকে। পা দিয়ে রক্ত বেরোলো কিভাবে ?

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ঘটনাকে আত্মহত্যার রূপ দিতে মামলার আইও সুরাতহাল রিপোর্টে আঘাতের চিনহ গুলো উল্লেখ করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুরাতহাল প্রতিবেদন তৈরী করা রাঙ্গুনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করার সময় লাশের শরীরে কোনো আঘাতের চিনহ পাওয়া যায় নি।

রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, যেহেতু ইউডি মামলা হয়ে গেছে সেহেতু নতুন করে হত্যা মামলা নেয়ার সুযোগ নেই। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর হত্যা প্রমানিত হলে ইউডি মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহন করা হবে। একই মন্তব্য করেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print