
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহান বলেছেন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে। চট্টগ্রামের মাটি বিএনপি ও খালেদা বেগম জিয়ার ঘাঁটি। চট্টগ্রাম হচ্ছে আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার। এ চট্টগ্রাম থেকেই শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই চট্টগ্রামের মাটি থেকেই বেগম খালেদা জিয়াকে দেশনেত্রী উপাধি দেয়া হয়েছিলো। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনও বিভাগীয় সমাবেশ থেকে শুরু হবে। বেগম জিয়াকে মুক্তি দেয়া না হলে এই চট্টগ্রাম থেকেই সরকার পতনের আন্দোলনের সূচনা হবে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি তরান্বিত করতে সমাবেশ সফল করুন।
তিনি শুক্রবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সারাদেশের মানুষ আজ সোচ্চার। কিন্তু সরকার প্রধানের ইশরায় তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না। তিনি জামিন পেলেও তার মুক্তিতে সরকার বাঁধা দিচ্ছে। অবৈধ সরকার জানে দেশনেত্রী মুক্তি পেলে জনতার জোয়ারে তারা ভেসে যাবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় প্রস্তুতি সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাবেশের সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার নামে যে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন তা প্রত্যাহার করে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিন। অন্যথায় দেশে জনবিস্ফোরণ ঘটবে। সেই বিস্ফোরণে এই অবৈধ সরকারের পতন হবে। তিনি শনিবারের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে নেতাকর্মীদেরকে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে মিছিলে মিছিলে সমাবেশে আসার আহবান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে বীর চট্টলা বিএনপির ঘাঁটি। বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রামের আওয়াজে অবৈধ সরকারের মসনদ কেঁপে উঠবে। সরকারকে বাধ্য করা হবে বেগম জিয়ার সকল মামলা স্থগিত করে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ প্রাণ প্রিয় নেত্রীর মুক্তির দাবীতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে প্রস্তুতি নিয়েছে। এই শান্তিপূর্ণ সমাবেশে যোগ দিতে মানুষ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদেরকে সমাবেশে আসার সময় শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ছাড়া অন্য কোন নেতাকর্মীর নামে ব্যানার ফেস্টুনে হবে না।
নির্বাচনের আগে বর্তমান অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতেই দেশনেত্রীকে বন্দি করে রেখেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিঃ সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলার কারণে বেগম খালেদা জিয়া আজ কারাগারে। শেখ হাসিনা গায়ের জোরে বেগম খালেদা জিয়াকে আটকিয়ে রেখেছে। গণতন্ত্র পুন:রুদ্ধার ও খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে চট্টগ্রামের বিভাগীয় সমাবেশ সফল করুন।
প্রস্তুতি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার ও হারুনুর রশিদ ভিপি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্র রাখেন চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান স্বপন, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শাহ আলম, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, সামশুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, চকবাজার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূর হোসাইন, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু প্রমুখ।