
চট্টগ্রাম মহানগরীর দুঃখ হিসেবে পরিচিত চাকতাই খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (২২ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে সেনা বাহিনীর নেতৃত্বে খালের বহদ্দারহাট অংশে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘মেগা প্রকল্প’ বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুল আলম চৌধুরী এ অভিযান পরিচালনা করছেন।
সিডিএ সূত্র জানায়, ওই খালে বহুতল ভবনসহ ৩০০ স্থাপনা রয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানে এসব স্থাপনা সরানো হবে।
সূত্র জানায়, চাকতাই খালটির দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ৮৮১ কিলোমিটার। বিএস খতিয়ান অনুযায়ী খালের ৮ দশমিক ১৩৭ একর জায়গা বেদখল। খালটির ওপর অবৈধ স্থাপনা ৩০০টি।
এর আগে রাজখালী খাল-২ ও নোয়াখালে উচ্ছেদ করা হয়।

সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, চাকতাই খালে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিযান চলবে। পর্যায়ক্রমে নগরের ১৩টি খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এ অভিযান আগামী দুই মাস পর্যন্ত চলবে।
সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী বলেন, খালগুলোর ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। সিডিএকে আমরা সহযোগিতা করছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়।
ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬ খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১০০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২০২০ সালের মধ্যে নগরে ৩৬টি খাল খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২টি সিল্ট ট্র্যাপ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করার কথা রয়েছে।