ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চট্টগ্রামে অপরিকল্পিত নগর উন্নয়ন, বাড়ছে জনদুর্ভোগ

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

nu-03
সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার সমন্বয়হীনতার কারণে অপরিকল্পিত উন্নয়নে বাড়ছে জনদুর্ভোগ। ছবি: সময় টিভির সৌজন্যে

একদিকে অপরিকল্পিত নগর উন্নয়ন অন্যদিকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় একের পর গড়ে উঠা বিপদজনক শিল্প কারখানার কারণে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে চট্টগ্রামের নাগরিক জীবন।

৬০ বর্গমাইলের এ চট্টগ্রাম মজানগরীর জনসংখ্যা ৬০ লাখের বেশি। অর্থাৎ প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বসবাস রয়েছে প্রায় এক লাখ মানুষের।  বিশেষ করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ’র মাস্টার প্ল্যানের কোনো ছাপই নেই এখানকার উন্নয়নে। ফলে চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকেই।

nu-02
সিডিএ’র মাস্টার প্ল্যানের কোনো ছাপই নেই এখানকার উন্নয়নে।

এ ব্যাপারে  পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী আলী আশরাফ বলেন, ‘যদি আবাসিক এলাকার কোনো কারখানায় আগুন লেগে যায়। তাহলে সেটার প্রভাব অন্য ভবনেও পড়বে। যারা আবাসিক এলাকায় থাকার জন্য টাকা বিনিয়োগ করেছে তারা বিপদে পড়ে যাবে।’

নগরীর উন্নয়ন কিংবা নগরবাসীর সুযোগ-সুবিধা দেখ-ভালের সাথে যুক্ত রয়েছে সিটি করপোরেশন সিডিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং ফায়ার সার্ভিসের মতো অন্তত ১৫টি সরকারি কিংবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এর কোনোটিরই কাজে সমন্বয় নেই বলে অভিযোগ নগর পরিকল্পনাবিদদের।

nu-04
সিটি করপোরেশন সিডিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং ফায়ার সার্ভিসসহ ১৫টি সরকারি কিংবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কাজে সমন্বয় নেই।

নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘ভবনের অনুমোদন দিয়ে থাকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। অন্য লাইসেন্সগুলো জেলা প্রশাসন দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কারো সাথে কারো সমন্বয় নাই। দেখা গেল যে এলাকায় ভবন নির্মাণেরই অনুমোদন নাই। সেখানে দেখা গেলো শিল্প-কারখানা স্থাপন করা হয়েছে অন্য কারো অনুমোদন নিয়ে।’

এর ফলে আগুনের মতো দুর্ঘটনা প্রতিরোধে রাখা হচ্ছে না কোনো ধরণের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। সে সাথে প্রাকৃতিক জলাধারগুলোও চলে যাচ্ছে দখলে।

nu-01
অপরিকল্পিত উন্নয়ন এবং সমন্বহীতার কারণে নগরীতে যানজট এখন প্রধান সমস্যা।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, অপরিকল্পিত ভাকে গড়ে উঠা একটি ‘ভবনের সাথে আরেকটা ভবন লেগে আছে। মাঝ খানে গিয়ে কাজ করার কথা সেখানে দেখা গেল কোনো পরিবেশ নাই।’

এ অবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যে সংস্থার সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা দরকার, সেই পরিবেশ অধিদপ্তরও রয়েছে নানা আইনি বাধ্যবাধকতার গ্যাঁড়াকলে।

un-05
অপরিকল্পিত ভাকে গড়ে উঠা একটি ‘ভবনের সাথে আরেকটা ভবন লেগে আছে।

চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সংযুক্তা দাশগুপ্তা বলেন, ‘শিল্প এলাকায় যারা আবাসিক ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে দোষটা তাদেরই হওয়া উচিত।’

শুধুমাত্র এ নগরীতেই ছোট-বড় গার্মেন্টস রয়েছে অন্তত ৫শ’। এর বাইরে বড় শিল্প হিসেবে স্টিল মিল কারাখানা রয়েছে ৫টির বেশি। এছাড়া অন্যান্য শিল্প কারখানার সংখ্যা ৫ হাজারের কম নয় বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print