t সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য ডেঙ্গু আক্রান্ত, এক দিনেই ভর্তি ১০০ – পাঠক নিউজ

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য ডেঙ্গু আক্রান্ত, এক দিনেই ভর্তি ১০০

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশু থেকে বৃদ্ধ— কেউই। পুরো শহরেই ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। শহরের নানা শ্রেণিপেশার মানুষের মতোই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভিড় করছেন পুলিশ সদস্যরাও।

রবিবার (২৮ জুলাই) রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কয়েকশ সদস্য। রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স ব্যারাক, মিরপুর ও উত্তরাসহ বেশ কয়েকটি এলাকার পুলিশ সদস্যরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তারা এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আড়াইশ শয্যার এই হাসপাতালে গত তিন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মনোয়ার হাসনাত খান বলেন, রবিবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হাসপাতালটিতে একশ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। গতকাল সারাদিনে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল একশ এক জন। তার আগের দিন ভর্তি হয়েছেন ৯০ জন।

তিন মাসের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে ডা. মনোয়ার হাসনাত বলেন, গত মে, জুন ও জুলাই মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৫৪ জন পুলিশ সদস্য ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

তিনি বলেন, হাসপাতালের মোট রোগীর ৯৫ ভাগই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। তাদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভয়ের কোনো কারণ নেই। অন্য রোগীদেরও প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে জানান ডাক্তার হাসনাত।

আরএমও ডা. মনোয়ার হাসনাত খান আরও বলেন, ‘রাজারবাগ হাসপাতালে যারা চিকিৎসা দিচ্ছেন তারা অধিদফতর থেকে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। প্রতিদিন অসংখ্য রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসছেন। তাদের অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। যাদের জ্বর একটু বেশি, শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে।’

মিরপুর থেকে চিকিৎসা নিতে আসা পুলিশের একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাসেল আহমেদ বলেন, গত ২২ জুলাই রাতে বৃষ্টিতে ভিজে বাসায় ফেরার পর জ্বর আসে। তিন-চারদিন নাপা ট্যাবলেট খেয়েছি। জ্বর না কমায় এখানে এসে টেস্ট করি। ডেঙ্গু ধরা পড়ায় গতকাল ভর্তি হই। তিনি বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের হাসপাতালে যত্ন সহকারে চিকিৎসা দিচ্ছেন।

হাসপাতালটির সিনিয়র নার্স আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, প্রথম দিকে রোগীরা জ্বরের অনেক দিন পর হাসপাতালে এসেছেন। আর এখন জ্বর আসতেই হাসপাতালে ছুটে আসছেন। ফলে যত রোগী পরীক্ষার জন্য আসেন, ভর্তি হচ্ছেন তার চেয়ে কম। এ কারণে হাসপাতালে লোকের ভিড় আগের চেয়ে অনেক বেশি। যারা ভর্তি আছেন, তাদের প্লাটিলেট কমে যাওয়ায় রক্ত সরবরাহ করতে হচ্ছে। পুলিশের ব্লাড ব্যাংক থেকেই সমস্ত রক্ত জোগান দেওয়া হচ্ছে বলে জানান আয়েশা সিদ্দিকা।

রাজারবাগ কেন্দ্রীয় হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সুপার এমদাদুল হক বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এত হবে তা বুঝতে পারিনি। আমাদের যে ব্যবস্থাপনা ছিল রোগী বাড়ার কারণে বাড়ানো হয়।

পুলিশ সদস্যদের অনেককে এখানে স্বেচ্ছাসেবক রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি কিছুটা হলেও উদ্বেগজনক। কারণ একসঙ্গে এত রোগী আগে কখনো হাসপাতালে আসেনি। এরপরেও যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে রোগীদের সুস্থ করে তুলতে।

সর্বশেষ

চকবাজারের কুটুমবাড়িকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

বাকলিয়া এক্সেস রোড়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত : আহত ১০

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা’র প্রভাবে সারাদেশে ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশকে গ্রেপ্তার

মৃত্যুপুরী রাউজান : ১৩ মাসে ১৬ খুন

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print