
একাধিক পুরুষ কনেষ্টেবলের সাথে অবৈধ মেলা মেশা ও অনৈতিক সম্পর্কের ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়ায় জেলার বাঁশখালি থানার কনেস্টেবল সুইম্রাচিং মার্মা নামে এক নারী কনেষ্টেবলের বিরুদ্ধে বদলীসহ বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে জেলা পুলিশ সুপারের বরাবরে অভিযোগ করেছেন বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ।
ইতোমধ্যে একজন কনেষ্টেবলের সাথে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি, ভিডিও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
আজ শনিবার (১৮ আগষ্ট) জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে তাঁকে (নারী কনেষ্টেবল) ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন এডিশনাল এসপি (সদর) জাহাঙ্গীর আলম।

এর আগে গত ১৬ আগষ্ট এসপির বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ। (যার স্বারক নং ৫৫৩৫, তারিখ-১৬/০৮/২০১৯ ইং)। অভিযোগটি আজ ১৭ আগষ্ট এসপি অফিসে গ্রহণ করা হয়।
বাঁশখালী থানার ওসি মো. রেজাউল করিম মজুমদার অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও তিনি প্রতিবেদককে প্রশ্ন করেন এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আপনি জানলেন কিভাবে..? পরে তিনি বলেন এই নারী কনেষ্টেবল এখন বাঁশখালীতে নাই, অনেক আগে চলে গেছেন।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা পাঠক ডট নিউজকে বলেন, এ ধরণের কোন অভিযোগ আমার নলেজে নেই। স্বারক নম্বর ও তারিখের বিষয়টি উল্লেখ্য করলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি অনুসন্ধ্যান করে দেখছি।
এদিকে এসপিকে দেয়া বাঁশখালী থানার ওসি অভিযোগের একটি কপি পাঠক ডট নিউজের হস্তগত হয়েছে। এতে ওসি উল্লেখ করেন, বাঁশখালী থানায় কর্মরত নারী কনেষ্টেবল/২১৪২ সুইম্রাচিং মার্মা (এসএএফ) ০৫/০৬/২০১৭ থেকে বাঁশখালী থানায় কর্মরত আছে।
তিনি বান্দবান জেলা পুলিশ লাইন হতে জরুরী ডিউটি করার জন্য গণ্ডামারা এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত কং/১৭৩৭ মো. নাসিম উদ্দিনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং কনেষ্টেবল নাসিমের সাথে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করে দৈহিক সম্পর্ক করে। এসব কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন ছবি ধারণ করে। পরে তাদের মধ্যে সম্পর্কে অবনতি ঘটে।
ইতোমধ্যে কনেষ্টেবল নাসিম পূণরায় বাঁশখালি তার নিজ জেলা বান্দরবানে বদলী হয়ে যায়। নাসিম চলে যাবার পর সুইম্রাচিং মার্মা বাঁশখালী থানায় কর্মরত কনেষ্টেবল/১৪৪১ বিপ্লব দের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং গত ১৪/০৮/২০১৯ ইং দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় তারা দুজন থানার মহিলা ব্যারাকে মিলিত হয়।
কনেষ্টেবল নাসিম সুইম্রাচিং মার্মা ও বিপ্লব দের প্রেমের খবর জানতে পেরে তাদের পূর্বে তোলা বেশ কিছু অশ্লীল ছবি (সুইম্রাচিং মার্মার) ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে তা ছড়িয়ে দেয় এবং পুলিশের বিভিন্ন সদস্যদের ইমু ও হোয়াটসঅ্যাপে পাঠায়।
১৫/০৮/২০১৯ ইং তারিখে বিষয়টি অবগত হয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান চালিয়ে সত্যতা পাওয়া যায়।
নারী কনেষ্টেবল সুইম্রাচিং মার্মা বিভাগীয় নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুন্ন করেছে। যাহা বিভাগীয় শাস্তিযোগ অপরাধ।
থানা পুলিশের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নারী ক/২১৪২ সুইম্রাচিং মার্মাকে অত্র থানা থেকে অন্যত্র বদলীসহ অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।