t কোম্পানীগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ – পাঠক নিউজ

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

কোম্পানীগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

 প্রেমিক মো. আশরাফুল ইসলাম

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে প্রেমিক মো. আশরাফুল ইসলাম (২০)।  বিয়ের প্রলোভনে পড়ে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে ছাত্রীটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি জানা জানি হলে মো.আশরাফুল ইসলাম (২০) কৌশলে ছাত্রীটির গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করে।

পরে এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২ মাস ২৬ দিনেও ধর্ষক গ্রেপ্তার না হওয়ায় জনমনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অপর দিকে মামলা দায়ের করার কারণে, ধর্ষণ মামলার বাদী সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে, গত ২৬ মে দুপুরে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের নূর নবীর ভাড়া বাসায়।

অভিযুক্ত প্রেমিক আশরাফুল ইসলাম কবিরহাট উপজেলার জৈনতপুর গ্রামের সাদেক মেম্বার বাড়ির আলমগীর হোসেন ও হাসিনা আক্তারের ছেলে।

নির্যাতিতার মা অভিযোগ করেন, ধর্ষণ মামলার ২ মাস ২৬ দিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষক আশ্রাফুল ইসলামকে রহস্যজনক কারণে গ্রেপ্তার করছেনা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাজুল ইসলাম। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রীর মাকে জানান, তার সহোযোগিতা ছাড়া আসামী গ্রেফতার করা সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাজুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত যুবকের বাড়ির পাশের কবিরহাট উপজেলায় হওয়ায় তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিতা ওই কলেজ ছাত্রী কোম্পানীগঞ্জের বামনী ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তার বাড়ি থেকে বামনী কলেজ দূরে হওয়ায় সে মুজিব কলেজে ক্লাস করতো। তখন অভিযুক্ত ধর্ষক প্রেমিক আশ্ররাফুল ক্লাসমেট পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সখ্য গড়ে তুলে এবং ২ জনের মোবাইলে আলাপে ও একাদশ শ্রেণিতে দেখা-সাক্ষাতে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিগত ২ মাস পূর্বে আসামী আশ্রাফুল ইসলাম (২০) মোবাইলে তার পারিবারিক অনুষ্ঠানের কথা বলে দাওয়াত দিলে সরল বিশ্বাসে তার ভাড়া করা বাসায় গেলে দেখতে পায় কেউ নেই। কলেজছাত্রী লোকজন ও অনুষ্ঠানের কথা জিজ্ঞাসাবাদ করলে ধর্ষক আশ্ররাফুল জানায়, তার এক আত্মীয় অসুস্থ হয়ে পড়ায় সবাই সেখানে চলে গেছে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।

মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, উক্ত বিবাদী রমজানের ঈদের পরদিন ৬ই জুন তার বন্ধু ইমনকে এক রুমে বসিয়ে রেখে অসহায় কলেজছাত্রীকে অন্য রুমে নিয়ে দুপুর দেড়টায় ফের ধর্ষণ করে। গত ৭ই জুন ধর্ষিতা তার বড় বোন মাহিনুরের ঢাকার বাসায় যায়। কলেজছাত্রীর বিষয়টি খালামণি মেরী আক্তারকে জানায়। পরে বেবী টেস্ট টিউবের মাধ্যমে পরীক্ষা করলে দেখা যায় ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা। সে ধর্ষককে মোবাইলে বিষয়টি জানালে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলার জন্য বলে। সে রাজি না হয়ে আসামিদের পরিবারকে জানালে উল্টা বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দিলে ধর্ষিতা স্থানীয় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। গর্ভবতী এ কলেজছাত্রী বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরলে ধর্ষকের ভাই আরিফুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের ভাড়াটিয়া ক্যাডারদের দিয়ে গুম ও খুনের দফায় দফায় হুমকির মুখে ধর্ষিতা বসতভিটা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ভিকটিমের মা আসামি ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সর্বশেষ

চকবাজারের কুটুমবাড়িকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

বাকলিয়া এক্সেস রোড়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত : আহত ১০

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা’র প্রভাবে সারাদেশে ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশকে গ্রেপ্তার

মৃত্যুপুরী রাউজান : ১৩ মাসে ১৬ খুন

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print