ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

স্ত্রীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য ও কুপ্রস্তাব দেয়ায় ফাহিমকে গলাকেটে হত্যা করে আরিফ

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

লাশ উদ্ধারের ফাইল ছবি।

চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানার ডিসি রোডের দ্বিতল ভবনের পানির ট্যাঙ্কি থেকে কলেজ ছাত্র শাখাওয়াত হোসেন ফাহিমের গলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভোলা থেকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আরিফ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করার পর তার স্বীকারোক্তি হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত আরিফ পাশে নিহত ফাহিম।

পুলিশ জানায়,স্ত্রীকে নিয়ে বাজে কথা বলায় ক্ষোভ থেকে মূলত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে আরিফ। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে আরিফ। আরিফ দাবি করেছে- সে একাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

আজ এ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান জানান, মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাতে ভোলা জেলা থেকে আরিফকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়।

আরিফ স্বীকার করেছে একসঙ্গে বাসায় বসে আড্ডা দিতেনওে ইয়াবা সেবন করতো দুই বন্ধু। এসময় তার স্ত্রীকে নিয়ে ফাহিম বাজে মন্তব্য করতো এবং কু প্রস্তাব দিতো। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পরিকল্পিকভাবে সে ফাহিমকে গলাকেটে হত্যা করেছে।

উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান জানান, নিহত শাখাওয়াত হোসেন ফাহিম (২১) ও মো. আরিফ (২২)।দুজনেই প্রতিবেশী হিসেবে একই এলাকায় বসবাস করার পাশাপাশি একসঙ্গে ইয়াবা সেবন করত।

এর আগে গত ২৩ আগস্ট সকালে ডিসি রোডের আবু কলোনীর পাশে আবুল কাশেমের বাড়ির দ্বিতীয় তলা ভবনের উপরে পানির পরিত্যক্ত টাংকির ভতির থেকে শাখাওয়াত হোসেন ফাহিমের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ফাহিমের বাবা বাদী হয়ে চকবাজার থানায় একটি মামলা করলে পুলিশ ভোলা থেকে আরিফকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ, চকবাজার জোনের সহকারী কমিশনার মুহাম্মদ রাইসু্ল ইসলাম, চকবাজার থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিতে গিয়ে গ্রেফতার হওয়া আরিফ পুলিশকে জানায়, গত ২০ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে আরিফ বাসা থেকে একটি কাঁথা ও একটি ছুরি নিয়ে আবুল কাশেমের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় টিনশেডঘেরা পানির টাংকির ওখানে যায়। সাড়ে সাড়ে ৮টার দিকে গলির মুখে দাঁড়িয়ে থাকা শাহাব উদ্দিন নামে অন্য এক ব্যক্তির মোবাইল থেকে ফাহিমকে ফোন করে ওখানে আসতে বলে। ফাহিমের আসতে দেরি হওয়ায় শাহজাহান আরেকজনের মোবাইল থেকে ফের ফোন করে। ফাহিম আসলে তাকে নিয়ে পানির টাংকির ওখানে গিয়ে আড্ডা দেওয়ার জন্য বসে। একপর্যায়ে ফাহিমের গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে গলা তেটে ফেলে আরিফ। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ফাহিমের বুকে, পেটে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার সেখান থেকে চলে যায় আরিফ। ঘটনার তিন দিন পর ২৩ আগস্ট ফাহিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ফাহিমের পরিবার জানায়, ২০ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিল ফাহিম। ২২ আগস্ট তার পরিবার চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। ২৩ আগস্ট সকালে ডিসি রোডের আবু কলোনীর পাশে আবুল কাশেমের বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে ফাহিমের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনার পর ফাহিম এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তার মোবাইল ফোন টেকিং করে ভোলার আত্মীয়ের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে এবং আজ সকালে তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়।

*চট্টগ্রামে পানির ট্যাংকে নিখোঁজ কলেজ ছাত্রের গলিত লাশ

 

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print