
চট্টগ্রামের আলোচিত তরুণ চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় প্রধান আসামি ডা. তানজিলা হক চৌধুরী মিতু কারাগার থেকে ৭ মাস পর মুক্তি লাভ করেছেন।
হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন পাওয়ার এক সপ্তাহ পর আজ বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বেরিয়ে যান।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. আবদুস ছালাম ডা. মিতুর কারামুক্তির তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, হাইকোর্টের জামিননামা চট্টগ্রাম কারাগারে পৌঁছালে যাচাই-বাছাই শেষে সন্ধ্যার সময় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৮ আগষ্ট বুধবার দুপুরে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ মিতুর জামিন মঞ্জুর করেন। তখন আদালতে মিতুর জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মির্জা মো. সোয়েব মুহিত।
উল্লেখ্য- গত ৩১ জানুয়ারি ভোরে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে আত্মহত্যার জন্য তার স্ত্রীকে দায়ী করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি ব্লক ২ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা চিকিৎসক আকাশ।
ঘটনার দিন রাতেই নগরীর নন্দনকানন এলাকা থেকে স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে আটক করে পুলিশ।
এনিয়ে আকাশের পরিবার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন-তানজিলা হক চৌধুরী মিতু (২৯), তার মা শামীম শেলী (৪৯), বাবা আনিসুল হক চৌধুরী (৫৫), বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা (২১), তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর দুই ছেলে বন্ধু উত্তম প্যাটেল ও ডা. মাহবুবুল আলম (২৮)।