t এনবিআরের নজরদারিতে ক্যাসিনো চক্র – পাঠক নিউজ

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

এনবিআরের নজরদারিতে ক্যাসিনো চক্র

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে দেশে অবৈধভাবে ক্যাসিনোর মেশিন আনা এবং তা দিয়ে অর্থ উপার্জন ও বিদেশে পাচার করেছে চক্রটি। এই পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত চক্রকে ধরতে এবার মাঠে নেমেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)গোয়েন্দারা। এরইমধ্যে যারা ক্যাসিনোর নামে ডিজিটাল জুয়া খেলায় ব্যবহৃত দামি মেশিন দেশে এনেছেন তাদের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে এনবিআরের সিআইসি।

একইসঙ্গে ক্যাসিনো থেকে অবৈধভাবে আয় করা অর্থ পাচার হয়েছে কিনা, কারা পাচার করেছে, তাও খুঁজে বের করার কাজ শুরু করেছে সংস্থাটি।

এ প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে যারা শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে ক্যাসিনোর নামে জুয়া খেলার ব্যবহৃত দামি দামি মেশিন দেশে এনেছেন তাদেরকে ধরা হবে। এছাড়া, যারা অর্থপাচারের সঙ্গে যুক্ত আছে, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

এদিকে, ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি দিয়েছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইসি)। এনবিআরের চিঠি পাওয়ার পর র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিএফআইইউ। দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে, জি কে শামীম ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকির বিষয়ে তদন্ত করছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইসি)। নির্ধারিত এলাকার কর সার্কেল থেকে তার আয়কর নথি তলব করা হয়েছে।

কাস্টমস গোয়েন্দারা বলছেন, বৈধ পথে ক্যাসিনোর সরঞ্জামাদি আমদানির সুযোগ নেই।

ধারণা করা হচ্ছে, শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে এসব মেশিন ও খেলার সামগ্রী আনা হয়েছে। এজন্য খেলার সামগ্রী ও মূলধনি যন্ত্রপাতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে চারটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য পেয়েছে এনবিআরের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইসি।

জানা গেছে, ক্যাসিনো চালানোর প্রতিটি মেশিনের দাম ৫০ লাখ থেকে শুরু করে আড়াই কোটি টাকা পর্যন্ত। এসব মেশিনারিজ খেলার সামগ্রীর নামে শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে দেশে আনা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করে এনবিআরের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে বলেন, কোন প্রতিষ্ঠান কীভাবে ক্যাসিনোতে চালানোর জন্য এসব মেশিন আমদানি করেছে, তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে এনবিআরের কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। চার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি। এই কর্মকর্তা বলেন, ক্যাসিনো থেকে অবৈধভাবে আয় করা অর্থ পাচার হয়েছে কিনা, বা কারা পাচার করেছে, তাও খুঁজে বের করার কাজ শুরু হয়েছে।

এদিকে এনবিআরের চিঠি পাওয়ার পর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সংস্থাটির প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই সম্রাট ও এমপি শাওনের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

বিএফআইইউ থেকে যুবলীগ নেতা সম্রাট, খালেদ ও শামীমের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে দেশের সব ব্যাংককে পৃথক চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে তাদের পরিবারের কারও নামে কোনও হিসাব ও লেনদেন হলে তারও তথ্য দিতে বলা হয়েছে।

বিএফআইইউ আরও যাদের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখছে, তারা হলেন— ফারজানা চৌধুরী, প্রশান্ত কুমার হালদার, আফসার উদ্দীন মাস্টার, আয়েশা আক্তার, শামীমা সুলতানা, শেখ মাহামুদ জোনাইদ, মো. জহুর আলম, এসএম আজমল হোসেন, ব্রজ গোপাল সরকার ও শরফুল আওয়াল।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র‌্যাব। ওই রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) নিকেতনে নিজের অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয় যুবলীগ নেতা জিকে শামীমকে। যুবলীগের এই দুই নেতাকে গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়

সর্বশেষ

চকবাজারের কুটুমবাড়িকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

বাকলিয়া এক্সেস রোড়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত : আহত ১০

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা’র প্রভাবে সারাদেশে ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশকে গ্রেপ্তার

মৃত্যুপুরী রাউজান : ১৩ মাসে ১৬ খুন

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print