
আইনি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়া জামিন না পেলে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাকে মুক্ত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিবর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কারাবন্দী চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য দলের চার সাংসদ ‘প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ’ চাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া কারো অনুকম্পায় মুক্ত হবেন না। জামিন পাওয়ার অধিকার ন্যায্য অধিকারে তিনি মুক্ত হবেন। বেআইনি মিথ্যা মামলা’ দিয়ে তাকে আটকে রাখা যাবে না। জনগণ তাদের প্রিয় নেত্রীকে অবশ্যই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই তাকে বের করে নিয়ে আসবে।
দেশনেত্রীকে মুক্ত করবার জন্যে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য আজকে যেমন পেশাজীবীরা মাঠে নেমেছেন। দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে দেখে আসার পর আগের দিন বিকালে দলের সংসদ সদস্য জি এম সিরাজ, মোশাররফ হোসেন, জাহিদুর রহমান জাহিদ ও রুমিন ফারহানা সাংবাদিকদের বলেন, জামিন আদালতের এখতিয়ার হলেও রাজনৈতিক বন্দি হওয়ায় তার মুক্তির প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান তারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের ‘দুর্নীতি ও লু্টপাটের স্বর্গরাজ্য’ ও ‘গণতন্ত্র ধ্বংসের’ আয়োজন টিকিয়ে রাখতে খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে। “বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার তাদের যে নীলনকশা, তা তারা বাস্তবায়িত করতে পারবে না। সেজন্যই দেশনেত্রীকে আটক করে রেখেছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে আইনজীবী সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, এম আবদুল্লাহ, কাদের গনি চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শামসুল আলম, চিকিৎসক অধ্যাপক মোস্তাক রহিম স্বপন, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, কৃষিবিদ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, শামীমুর রহমান শামীম, শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের জাকির হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম ও নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের জাহানারা বেগম বক্তব্য দেন।