
কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
আজ শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে ছাত্রদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলটি নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাকরাইলের নাইটিংগেল মোড় হয়ে আবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে রিজভী বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ছাত্রদলের এই বিশাল মিছিলের আওয়াজ স্বৈরাচারের বক্ষে কম্পন ধরাবে। এভাবে ছাত্ররা রাস্তায় নেমে এলে এই নিষ্ঠুর স্বৈর সরকারের পতন হতে আর বেশি সময় লাগবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফর নিয়ে তিনি বলেন, আগের সফরে প্রধানমন্ত্রী তিস্তার আধা লিটার পানিও আনতে পারেন নাই। সমতার ভিত্তিতে আদায় দূরে থাক ভারতের কাছ থেকে শেখ হাসিনা একটা কানাকড়িও আদায় করতে পারেননি। অথচ প্রধানমন্ত্রী নিজ মুখেই বলেছেন, আমরা ভারতকে অনেক কিছুই দিয়েছি। কিন্তু কী দিয়েছেন তা জনগণ এখনও জানে না। জনগণ শুধু জানে ভারত থেকে কিছু আদায় করতে শেখ হাসিনা ব্যর্থ হয়েছেন।
রিজভী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে শেখ হাসিনার ‘নো কম্প্রোমাইজ’ বলাতেই প্রমাণিত হয়, খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার জেদ ও প্রতিহিংসার কারণেই কারাগারে বন্দী হয়ে আছেন। সেক্ষেত্রে আইন ও বিচারিক প্রক্রিয়া কেবল মুখোশমাত্র। খালেদা জিয়ার বিয়োগান্তক পরিণতি না ঘটানো পর্যন্ত শেখ হাসিনার প্রতিহিংসা পূরণ হবে না। এ কারণেই বিনা অপরাধে তাকে ধুকে ধুকে মারার জন্য বন্দী করে ষড়যন্ত্রের নিষ্ঠুর ছক আঁটা হচ্ছে। তবে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে বাঁচানোর শর্তই হচ্ছে খালেদা জিয়ার মুক্তি। এ কারণেই তরুণদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
এ সময় বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রদল মহানগর নেতা কামরুজ্জামান জুয়েল, মো. রাজিব আহমেদ, মাহামুদুল হাসান বসুনিয়া, সজীব আহমেদ রানাসহ বিভিন্ন থানা ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের কয়েক শত নেতাকর্মী।