ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

‘বিড়ি শ্রমিক লীগ’ নেতা থেকে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

ওমর ফারুকের উত্থানের অনেকটা রূপকথার মত। তামাক দিয়ে ব্যবসা শুরু করে তৈরি পোশাকের ব্যবসা করেছেন। কিন্তু ব্যবসা তাঁকে ঋণখেলাপি করেছে। রাজনীতিও তাঁকে হতাশ করেছে লম্বা সময়।

বিড়ি শ্রমিক লীগ, জাতীয় পার্টির যুব সংগঠন, আওয়ামী লীগ করেও লম্বা সময় ছিলেন পেছনের কাতারে। তবে যুবলীগ তাঁকে নিয়ে গেছে শীর্ষে। যুবলীগের চেয়ারম্যান হওয়ার পর শোধ করেছেন পুরোনো ব্যর্থতার দেনা। ভাগ্যগুণে ওমর ফারুক চৌধুরী এমন সাফল্য পেয়েছেন বলে মনে করছেন যুবলীগের অনেক নেতা।

জানা যায়, ২০০৩ সালে যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন ওমর ফারুক। এর আগের কমিটিতে ছিলেন কার্যনিবার্হী কমিটির সদস্য। ২০০৯ সালে হন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সেখান থেকে ২০১২ সালে হন চেয়ারম্যান।

১৯৪৮ সালে রাউজানে জন্ম নেয়া ওমর ফারুক চৌধুরী সত্তরের দশকে চট্টগ্রাম জেলা বিড়ি শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিড়ি শ্রমিক লীগের নেতা হয়ে মিয়ানমার থেকে তামাকের বিকল্প টেন্ডু পাতা আমদানি শুরু করেন তিনি। এরপর এরশাদ ক্ষমতায় আশার পর ওমর ফারুক চৌধুরী শ্রমিক লীগের রাজনীতি ছেড়ে যোগ দেন জাতীয় পার্টির যুব সংহতিতে। এরশাদের পতনের পর ১৯৯২ সালে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সদস্য হন তিনি।

১৯৮৮ সালে রাউজানে পোশাক কারখানা স্থাপন করেন তিনি। তবে এই ব্যবসা করতে গিয়ে সম্পদ নিলামে ওঠার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় ওমর ফারুকের। ১৯৯৭ সালে ওমর ফারুক চৌধুরী ও তার স্ত্রীর নামে ১১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ নেয়া হয়। যা পরে ৪৪ কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়। ঋণের টাকা আদায় না করতে পেরে অর্থ আদায়ে আদালত যায় ব্যাংক।

ওমর ফারুক চৌধুরী জাতীয় পার্টির প্রয়াত নেতা নাজিউর রহামন মঞ্জুর ভায়রা ভাই এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ভগ্নিপতি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরুর দিনই তার বক্তব্য ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে যুবলীগের সম্পৃক্ততা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে নিজেই পড়ে যান বেকায়দায়।

যুবলীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এমনই ভাগ্য ওমর ফারুকের, ৬৪ বছর বয়সে হয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান। অথচ যুবলীগের ইতিহাসে এর আগে ৫০ বছরের বেশি বয়সী কেউ চেয়ারম্যান হননি। ১৯৭২ সালের ​নভেম্বরে শেখ ফজুলল হক মণি যখন যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন, তখন তাঁর বয়স ছিল ৩২ বছর।

২০১৭ সালের জাতীয় যুবনীতি অনুসারে, ‘১৮ থেকে ৩৫ বছরের বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক যুব হিসেবে গণ্য হবে।’ কিন্তু যুবলীগ চেয়ারম্যানের বর্তমান বয়স ৭১ বছর। তিনি সাত বছর ধরে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। যদিও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর কমিটি করার কথা। শুধু তিনি নন, যুবলীগের নেতাদের আরও অনেকের বয়স ৬০ পেরিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

এদিকে চলমান শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে এবার যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।

তিন কার্যদিবসের মধ্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের নামে থাকা সব হিসাবের লেনদেনের তথ্য, বিবরণীসহ সব পাঠাতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print