
চট্টগ্রাম মহানগরীর একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে লিবিয়ায় পাচারকালে জড়ো করা ৫ ব্যাক্তিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।এসময় মানব পাচারকারী দালাল চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফাতার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ১৫টি পাসপোট।
আজ সোমবার সকাল থেকে দিনভর এ অভিযান চালায় সিএমপির কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া ৫ জন হলেন- মো. ফারুক (৩৪), মো. শাহআলম (২৭), মো. আকরাম মন্ডল (২৫), কাবরীর (২১) ও মুরাত মাতাব্বর (২২)।
তাদের মধ্যে প্রথম দুইজনের বাড়ী বি-বাড়িয়ার বানচারামপুর উপজেলায়। পরের ৩ জনের বাড়ী ফরিদপুরের নগর কান্দা থানায়।
গ্রেফতারকৃত ৩ দালাল চক্রের সদস্য হল- আতাউর রহমান (৩৮), মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (২৬) দুজনের বাড়ী-ফতুল্লা নারায়নগঞ্জ এবং মো. জাহাঙ্গীর (৩৪) টঙ্গিবাড়ী, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা।

কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন অভিযানের বিষয়টি পাঠক ডট নিউজকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিক্তিত নগরীর স্টেশন রোড়ে অবস্থিত মিড টাউন হোটেলে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে লিবিয়ায় পাচারকালে ৫ ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ৩ মানব পাচারকারীকে। জব্দ করা হয়েছে ১৫ টি পাসপোর্ট।
তিনি বলেন, উদ্ধার করা ৫ ভিকটিমের সাথে এই চক্রের ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকায় চুক্তি হয়েছে লিবিয়া যাওয়ার এবং সেখানে পৌছে টাকা শোধ করার কথা।
এ চক্রের মূল হোতার নাম-পরিচয় আমরা জেনেছি। সে ঢাকায় অবস্থান করছে। তার ফোন নম্বরও আমরা সংগ্রহ করেছি। তাকে ধরার জন্য অভিযান চালানো হবে।
ওসি মহসীন আরো বলেন উদ্ধার করা ব্যাক্তিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পাচারকারীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হত দরিদ্র, বিভিন্ন পেশার মানুষদেরকে বিদেশে অধিক আয়ের প্রলোভন দেখায় । দরিদ্র লোকজন তাদের কথার বিশ্বাস করে প্রতারনার ফাঁদে পা দেয়। তারা গ্রামের নিরীহ লোকজনদেরকে অল্প টাকায় যুদ্ধবিধস্থ লিবিয়ায় নিয়ে গিয়ে অধিক আয়ের লোভ দেখায়। যুদ্ধবিধস্ত দেশ লিবিয়ায় গিয়ে অনেকেই অর্থ উপার্জন করতে না পেরে মৃত্যুর মুখে পতিত হয়। বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া যাওয়ার বৈধ কোন পন্থা না থাকায় আসামীরা গ্রামের সহজ সরল মানুষকে বিভিন্নভাবে অবৈধ পন্থায় লিবিয়ায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে।