
ভুয়া পাওয়ার অব অ্যাটর্নির (আমমোক্তারনামা) জোরে রাজধানীর গুলশানে আড়াই’শ কোটি টাকার সম্পদ দখল করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাহিমা নাসরিন মুন্নী ও তার স্বামী ডা. আলী আসকার কোরেশী। আদালতে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ভুয়া প্রমাণিত হলেও ওই জমি বুঝে নিতে পারছেন না ওই জমির প্রকৃত মালিক ডা. এ এইচ মো. আলী হায়দার কোরেশী।

মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র মুক্তি ক্লিনিক এর ব্যানারে দখলকৃত ওই জমিটি আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে ভুক্তভোগীকে বুঝিয়ে দেয়ার রায় দেন ঢাকা প্রথম যুগ্ম-জেলা জজ আদালত।
গত ৭ অক্টোবর ঘোষিত এ রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন মুন্নীর স্বামী আসকার কোরেশী। তিনি বলেন, টাকার বিনিময়ে রায় কিনেছেন বাদীপক্ষ। একই সঙ্গে মুক্তি ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি। মামলার নথিসূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, ১৯ বছর ধরে গুলশান-২ এর ৪৯ নম্বর সড়কের ২২ কাঠা জমির ওপর অবকাঠামোতে মুক্তি ক্লিনিক পরিচালনা করছেন ডা. কোরেশী। একপর্যায়ে ১৯৯৮ সালের একটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেখিয়ে জমির মালিকানা দাবি করে বসেন তার স্ত্রী মুন্নী।

জানা যায়, ভুক্তভোগী আলী হায়দার কোরেশী এখন লন্ডনপ্রবাসী। তার ছোট ভাই আলী আসলাম কোরেশী বলেন, ১৯৬৯ সালে গুলশানের এ জমিটি ভাবি শাহিন কোরেশীর (কনভার্টেড মুসলিম, আগের নাম ছিল কমলারানী রায়) নামে জমিটি কেনেন তার ভাই। ১৯৭০ সালে তিনি স্কলারশিপ নিয়ে লন্ডন যান। তারপর তারা একটি ওষুধ কোম্পানিকে বাড়িটি ভাড়া দেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় শাহিন কোরেশীও লন্ডন গিয়ে স্বামীর সঙ্গে যোগ দেন। এরপর মামলা হলে ৭৯ সালে আলী হায়দার জমিটির আমমোক্তারনামা আমাকে দেন।
ছোট ভাই আলী আসলাম কোরেশী আরও বলেন, ১৯৭৯ সালে বাড়িটি যাতে কেউ বিক্রি করে দিতে না পারে সেজন্য আদালতে একটি মামলা করা হয়। আদালত ইনজাংশন জারি করে। ৪০ বছর ধরে সেই মামলা চলে। সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় বাড়ির মালিক আলী হায়দার কোরেশী। ১৯৯৩ সালে বাড়িটি ভাড়া দেয়া হয় মুক্তি ক্লিনিকের কাছে। তারা ৬ মাস ভাড়া দেয়ার পর ভাড়া দেয়া বন্ধ করে ফলস কাগজ তৈরি করে জমির মালিকানা দাবি করে। আমরা তখন বাড়ি থেকে ভাড়াটিয়া উচ্ছেদের মামলা করি। আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে। সুত্রঃ আমাদের সময় ডটকম