চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়রসহ সভাপতি ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, শুদ্ধি অভিযানই প্রমাণ করে আওয়ামীলীগ আজ ডুবন্ত তরী। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অপসারণ করে কি আর শেষ রক্ষা হবে। দেশে আজ প্রশাসনিক কাঠামো বলতে কিছুই নেই। শাসক গোষ্ঠীর দলীয় লেজুড়বৃত্তি করতে গিয়ে প্রশাসন আজ লীগের সহযোগী সংগঠনের ভূমিকায় অবতীর্ণ। গণতান্ত্রিক এদেশে আজ আইনের শাসন বলতে কিছুই নেই। আইন শুধু বিএনপি নেতাকর্মীদের দমনের জন্য প্রযোজ্য।
আজ (২৭ অক্টোবর) রবিবার সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে নগরীর ষোলশহরস্থ ঐতিহাসিক বিল্পব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবু সুফিয়ান এ কথা বলেন।
সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী বলেন, আজ থেকে ৪১ বছর আগে ১৯৭৮ সালে যে লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যুব ঐক্য প্রগতি মূলমন্ত্র অন্তরে নিয়ে গঠন করেছিলেন জাতীয়তাবাদী যুবদল। স্বাধীনতার এত বছর পরও যুব সমাজ আজ অবহেলিত। বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত। গণতন্ত্র আজ নির্বাসনে। দেশনেত্রী আজ এক দলীয় শাসনের কারাগারে বন্দি। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হয়েও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ অধিকার বঞ্চিত। অধিকার হারা জাতিকে মুক্তির জন্য হারানো গণতন্ত্র ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির একমাত্র পথ আন্দোলন। আন্দোলন ছাড়া এদেশে গণতন্ত্রের আর মুক্তি মিলবে না। তাই সকলকে একযোগে রাজপথে নেমে আসতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে ক্ষমতাসীন সরকার স্বাধীনতার ঘোষক বীরউত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রেখেছেন। সুস্থ খালেদা জিয়া কারাগারে অবহেলা ও নির্যাতনের ফলে তিনি আজ অসুস্থ। চারিদিকে আজ হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের মহোৎসব চলছে। শাসক দল ও সহযোগী সংগঠন লুটপাটে ব্যাস্ত। আর বিএনপি দমনে ব্যস্ত প্রশাসন। এই গণতন্ত্রের জনই কি আমাদের পূর্ব পুরুষেরা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিলেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে চট্টগ্রামের যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামীর আন্দোলন সংগ্রামের জন্য দীপ্ত শপথ নেয়ার আহবান জানান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন, সহ-সভাপতি নুর আহমেদ গুড্ডু, এস এম শাহ আলম রব, এস এম রাজ্জাক, ফজলুল হক সুমন, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মো. জাহাঙ্গির আলম, আবদুর করিম, আবদুল গফুর বাবুল, সাহাব উদ্দিন হাসান বাবু, মো. মুসা, মনিরুল হাসান সিদ্দিকী, নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, জসিমুল ইসলাম কিশোর, অরুপ বড়–য়া, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের আহবায়ক মোহাম্মদ আলী সাকি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসাইন, যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান মাসুম, মো. সেলিম খান, ইকবাল পারভেজ, রাশেদুল হাসান লেবু, এরশাদ হোসেন, তাজুল ইসলাম তাজু, আবদুল হামিদ পিন্টু, মো. সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, মোর্শেদ আহমদ, রাজন খান, ওমর ফারুক, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম, আসাদুর রহমান টিপু, শাহজাহান পলাশ, সাইফুদ্দিন মো. মারুফ, জমির উদ্দিন আহমদ মানিক, জাফর আহমদ খোকন, রাসেল নিজাম, গুলজার হোসেন, হেলাল হোসেন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নূর হোসেন উজ্জ্বল, জিল্লুর রহমান জুয়েল, আজিজুল হক মাসুম, জসিম উদ্দীন সাগীর, আলাউদ্দিন, মহিউদ্দিন মুকুল, এনামুল হক এনাম, এস এম বখতেয়ার উদ্দিন, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, মো. ইকবাল, ওমর ইমতিয়াজ টিটু, আসাদুজ্জামান রুবেল, সহ-সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, মনোয়ার হোসেন মানিক, জিয়াউল হক মিন্টু, কমল জ্যৌতি বড়–য়া, মো. জহিরুল ইসলাম জহির, কামরুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন টুনু, হামিদুল হক, মাস্টার ফজলুল হক, কাউসার হোসেন, হাফেজ কামাল উদ্দিন, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, মো. সালাহ উদ্দিন, ইদ্রিস আলম, গুলজার হোসেন মিন্টু, জাহাঙ্গির আলম বাবু, ইলিয়াছ হাসান মঞ্জু, আশরাফ উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন, হোসেন জামান, মিফতাহ উদ্দিন সিকদার টিটু, আবদুল আওয়াল টিপু, ইব্রাহিম খান, সাইদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান দুলাল, মো. হাসান, এম এ হাসেম, জাহাঙ্গীর আলম মানিক, নগর যুবদলের সদস্য আফসার উদ দ্দৌলা অপু, শাবাব ইয়াজদানী, কলিম উল্লাহ, আবদুল্লাহ আল মামুন, আকবর হোসেন, সাব্বির ইসলাম ফারুক, আবদুল করিম, সাখাওয়াত কবির সুমন, কুতুব উদ্দিন, আশিক মল্লিক আরসি, শেখ রাসেল, শওকত খান রাজু, মনজুর আলম মঞ্জু, মোর্শেদ কামাল প্রমুখ।
