ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

নগরজুড়ে জশনে জুলুসে লাখো মানুষের ঢল

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (স:) আগমনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) পালন উপলক্ষে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহত্তম ধর্মীয় শোভাযাত্রা ৪৮তম জশনে জুলুস। আজ আজ রবিবার (১০ নভেম্বর) সকালে দুযোর্গপূণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে নগরীর ষোলশহরে জামেয়া আহম্মদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ থেকে নানা বয়সী লাখো মানুষের অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ জুলুস বের হয়।

জুলুসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাকিস্তান থেকে আগত ধর্মীয় নেতা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মা.জি.আ)।

বিশ্বমানবতার মুক্তিরদূত মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর পৃথিবীতে শুভাগমনের এ দিনটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণভাবে উদযাপন করতেই চট্টগ্রাম আনজুমান ট্রাস্ট এ জুলুসের আয়োজন করে। হামদ, না’ত ও দরুদ সালাম পড়ে জুলুসের এ শোভাযাত্রাটি নগরীর মুরাদপুর ষোলশহরস্থ আলমগীর খানকা এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে শুরু হয়ে জুলুসটি বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জাপুল, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, প্যারেড কর্নার, সিরাজউদ্দৌলা সড়ক, আন্দরকিল্লা, চেরাগি পাহাড়, প্রেসক্লাব, কাজীর দেউড়ি, আলমাস, ওয়াসা, জিইসি, মুরাদপুর ঘুরে জামেয়া মাদ্রাসা মাঠে মিলিত হবে। এর মধ্যে কাজীর দেউড়ি মোড়ে অস্থায়ী মঞ্চে হুজুর কেবলা বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করেন। এরপর জুলুস মাদ্রাসা মাঠে ফিরবেন। সেখানে হবে আখেরি মোনাজাত।

এদিকে জশনে জুলুস উপলক্ষে শনিবার ভোর থেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকয় তারকা খচিত ধমীয় পতাকা নিয়ে অবস্থান নিয়েছে। এসময় শুভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে কোমল পানীয় ও হাল্কা খাবার বিতরণ করতে দেখা যায়।

বিশাল এ শোভাযাত্রার কারণে নগর জুড়ে তীব্র জানজট লেগে গেছে। লাখ লাখ মানুষের অংশ নেয়া বিশাল জুলুসের নিয়ন্ত্রণ করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আয়োজক প্রতিষ্ঠান আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় কর্মকর্তা সৈয়দ আনোয়ার হোসেন জানান এবারের জুলুসে বৃহত্তর চট্টগ্রামে ৫০ থেকে ৬০ লাখ ধর্মপ্রাণ লোক অংশ গ্রহণ করেছে।

.

আনজুমান ট্রাস্ট এর মতে, ১৯৭৪ সালে গাউসে জামান সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রহ.) বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে জশনে জুলুসের প্রবর্তন করেন। যা আজ বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নবী দিবসে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় অনুষ্ঠান হিসেবে অনুসৃত ও উদযাপিত হয়। এবারের জুলুসে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত আছেন পাকিস্তান দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের আউলাদে রসুল, আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ্ (মা.জি.আ.) ও আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ আহমদ শাহ্ (মা.জি.আ.)।

আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের উপদেষ্টা ও পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক সুফি মিজানুর রহমান বলেন, ১৯৭৪ সাল থেকে চট্টগ্রামে জুলুস হচ্ছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় জুলুস। বিশ্বের অনেক দেশে জুলুস ছড়িয়ে পড়েছে। মিশরে রাষ্ট্রীয়ভাবে জুলুস বের করা হয়। আমরা আশা করবো, নবীজীর শানে আয়োজিত চট্টগ্রামের জুলুস গিনেস বুকে স্থান পাবে; ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের স্বীকৃতি পাবে।

দিনভর নগরজুড়ে অনুষ্ঠিত জুলুসের বিশেষ গাড়িতে হুজুর কেবলার সঙ্গে আছেন শাহজাদা আল্লামা সৈয়্যদ মু. কাসেম শাহ (মজিআ) ও আল্লামা সৈয়্যদ মু. হামেদ শাহ (মজিআ), আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের উপদেষ্টা ও পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক সুফি মিজানুর রহমান, আনজুমানের ভিপি মো. মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মো. আনোয়ার হোসেন, এডিশনাল সেক্রেটারি মো. সামশুদ্দিন এবং জয়েন্ট সেক্রেটারি সিরাজুল হক।

আঞ্জুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট আয়োজিত এ জুলুস সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে বিভিন্ন রোডম্যাপ, নিরাপত্তা ও আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে বিভিন্ন স্পটে। সাজানো হয়েছে বিশাল মঞ্চও। লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে এ জুলুস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print