
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ৪র্থ সমাবর্তন আগামী ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসজুড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
রাষ্ট্রপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মোঃ আবদুল হামিদ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
আজ সোমবার সন্ধায় চুয়েটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ.কে. আজাদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
এবারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রায় ২৫০০ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সমাবর্তন ডিগ্রী প্রদান করা হবে। এ উপলক্ষ্যে আজ ১১ নভেম্বর (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে সকল উপ-কমিটির সভাপতিদের সমন্বয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৪র্থ সমাবর্তন ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি-২০১৯ এর স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি ও ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম এতে
সভাপতিত্ব করেন।
এছাড়া চুয়েটের গৌরবময় পথচলার ৫০ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে আগামী ৬ ডিসেম্বর, দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হবে।
সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের ভিভিআইপি মন্ত্রী পরিষদ সদস্যগণ, এমপি, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ তরা বিপুল প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, চুয়েট পরিবারের বর্তমান সদস্যগণ মিলে প্রায় ১০ হাজার লোকের মিলনমেলা বসবে।
সুবর্ণজয়ন্তীর জমকালো আয়োজনে থাকবে- আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে নগরজুড়ে আনন্দ র্যালি, সন্ধ্যায় আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাতে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান, আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে চুয়েট ক্যাম্পাসে যাত্রা, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান, চুয়েটের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আমন্ত্রিত শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, নৈশভোজ, ফায়ারওয়ার্কস, জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী জেমস ও নগর বাউলের জমজমাট কনসার্ট প্রভৃতি।