ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

স্বামীর দাফন শেষ করে সীতাকুণ্ডে ফেরার পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন স্ত্রী (ভিডিও)

নিহত জাহেদা বেগমের ননদ জ্যোৎস্না বেগমের আহাজারী।

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

নিহত জাহেদা বেগমের ননদ জ্যোৎস্না বেগমের আহাজারী।

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে কর্মরত অবস্থায় নিহত হয় স্বামী। স্বামীর দাফন শেষ করে চট্টগ্রামে ফেরার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন স্ত্রী নিহত জাহেদা বেগম (৩৭)

এসময় আহত হয় তার তিন সন্তান ইমন (১৭), মেয়ে সুমী (১৯), মীম (৮) ও

বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহত জাহেদা বেগমের ছেলে সুমন। মুটো ফোনে সুমন বলেন, আমি অন্য বগিতে থাকায় বেঁচে গেছি।

 

সুমন জানায়, গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুলে জাহাজে কাজ করার সময় আমার বাবা নিহত হন। উনার লাশ নিয়ে আমরা গ্রামের বাড়িতে দাফন করতে যাই, এরপর কুলখানী শেষ করে আবার ট্রেনে করে চট্টগ্রামে ফিরে যাওয়ার সময় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে অন্য ১৫ জনের সাথে আমার মা ও মারা যায়। বাবা মারা যাওয়ার ৫ দিনের মাথায় মাকেও হারাতে হল।

সুমনদের গ্রামের বাড়ি শ্রীমঙ্গল উপজেলার গাজীপুর এলাকার রামনগরে হলেও তারা ৪৫ বছর ধরে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় থাকেন।

নিহত জাহেদার ননদ হাসিনা খাতুন জানান, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার গাজীপুর এলাকার রামনগরের মুসলিম মিয়া পরিবার পরিজন নিয়ে কর্মসূত্রে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে বসবাস করতেন। জাহাজকাটা শিল্পে কাজ করতেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দা টিটু মিয়া জানান, শনিবার আমরা জাহেদার স্বামী মুসলিম মিয়াকে দাফন করেছি, সোমবার কুলখানি শেষ করে জাহেদা তার সন্তানদের বার্ষিক পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেখানে যাওয়ার পথেই ট্রেন দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে।

জাহেদা বেগমের অপর ননদ জ্যোৎস্না বেগম বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমরা দুর্ঘটনায় আমার ভাইকে হারাই, তার পাঁচদিনের মাথায় সোমবার রাতে আমরা ভাবিকেও হারিয়ে ফেললাম। আমার ভাইয়ের ছেলে-মেয়েগুলো এখন এতিম হয়ে গেল।

ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতরা ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতালে) ভর্তি আছে। সোমবার রাত পৌনে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা আর সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে কয়েকটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ১৬ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য যে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ছোট কুমিরা এলাকায় সাগর উপকূলে একটি. শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে মাথায় প্লেট পড়ে মুসলিম নিহত হন। ৫ দিনের মাথায় মুসলিমের লাশ দাফন শেষ করে চট্টগ্রামে ফেরার পথে স্ত্রী জাহেদা বেগমও মারা যান।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print