ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

নিয়ন্ত্রণহীন খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের পাইকারী বাজার

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না পেঁয়াজের বাজার। কাজে আসেনি প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ। আবারো বাড়লো পেঁয়াজের দাম। কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে প্রায় দুইশ টাকা দরে।

দেশি পেঁয়াজের দাম আজ (১৪ নভেম্বর) কেজি প্রতি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা।

পেঁয়াজের মাত্রাতিরিক্ত দামে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ, আগের মতো সিন্ডিকেট করে ফের পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়েছে। আর এতে নিয়ন্ত্রণ নেই সরকারের।

৩ দিন আগেও দেশের বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ টকা। মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজিপ্রতি। আর মিসরের পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৯০ থেকে ৯৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১১৫ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হয়। আর মিসর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০৫ থেকে ১১০ টাকা বিক্রি হয়।

তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হঠাৎ করে দেশী পেঁয়াজের দাম ১৯০ থেকে ২০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারী বিক্রেতারা বলছেন, ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের পর আমদানিকৃত পণ্য খালাস না হওয়া এবং চাহিদার চেয়ে আমদানী কম হওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। তাই হু হু করে বাড়ছে পণ্যটির দাম।

খাতুনগঞ্জের পাইকারী পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলাই কুমার পৌদ্দার পাঠক ডট নিউজকে বলেন, যে পেয়াঁজ আজ সকালে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে তা দুপুরের পর কেজি প্রতি ৩০/৪০ টাকা বেড়ে গেছে। তিনি পেঁয়াজের বাড়তি দামের জন্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করে বলেন, মূল জায়গায় হস্তক্ষেপ না করে প্রশাসন আমাদের ধরে জেল জরিমানা করছে। এতে করে বাজারে প্রভাব পড়ছে। পেঁয়াজ আমাদানী সহজ করে দিলে এ সমস্যা হতো না। তবে সহসা পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসার সম্ভবনা নাই জানিয়ে তিনি বলেন নতুন দেশিয় পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভবনা নাই। এ জন্য আরো মাস দেড় মাস অপেক্ষা করতে হবে।

তবে কোন কোন ব্যবসায়ীদের মতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবের কারণেও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি দুইশ টাকা ছুঁইছুঁই করছে। এছাড়া আমদানি করা সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। সাধ্যের বাইরে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম নিয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।

দেশের বৃহত্তর পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের আড়তে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৭০ থেকে বেড়ে ১৯০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে ভারত, মিশর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ। তবে তুলনামূলক কিছুটা কম দাম রয়েছে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম।

নগরীর কাজীর দেউড়ি বাজারের ব্যবসায়ী খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. আলী জানান, গতকাল থেকে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি। এতোদিন ১৪০ থেকে দেড়শ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। এখন ২০০টাকা পেঁয়াজ বিক্রি করলে ক্রেতাদের মার খেতে হবে। সাধারণ মানুষ দুশ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনতে চাইবে না।

উল্লেখ্য ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। ইতোমধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বার বার খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ীদের জেল জরিমানা করেও পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print