
চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটায় ব্রিকফিল্ড রোডের অবস্থিত বড়ুয়ার বিল্ডিং এ ভয়াবহ গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে নিহত ৭ জনের প্রত্যেকের পরিবারকে তাৎক্ষনিক ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক।
আজ রবিবার সকালে দুর্ঘটনার পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে এ ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।
এসময় চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তিনি এ ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার খরচ সিটি কর্পোরেশন থেকে ব্যায় করা হবে বলে জানান।
এর আগে আজ সকাল পৌনে ৯টার দিকে পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডে কুঞ্জমনি বড়ুয়া ভবন নামে বাড়িটির নীচ তলার সামনে গ্যাসের পাইপলাইন বিস্ফোরণ ও দেয়াল ধসে অন্তত সাতজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আগামী ৫ দিনের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

পুলিশ জানায় বাড়ীর মালিক পরিমল ও নির্মল নামে দুই ভাইয়ের মালিকানাধীন। তারা দুজন খাতুনগঞ্জের আসাদগঞ্জের সুটকি ব্যবসায়ী।
সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ঘটনাটি তদন্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। কমিটিতে ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিও রয়েছেন।
নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়ারও ঘোষণা করেছেন ডিসি। তিনি বলেন, আহতদের চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন বহন করবে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন জানান, সকাল পৌনে ৯টার দিকে পাথরঘাটা এলাকার ব্রিক ফিল্ড রোডে অবস্থিত পাঁচতলা বড়ুয়া ভবনের সামনে গ্যাসের পাইপলাইন প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এসময় ওই ভবনের দুটি দেয়াল ধসে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই সাতজন মারা যান। আহত হন আরও ১৫ জন। তবে দুপুরে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রং মিস্ত্রী নূরুল ইসলাম ও স্কুল শিক্ষিক্ষা এ্যানি বড়য়া নামে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ ঘটনায় নিকটস্থ ভবনের একটি দরজা এবং গ্যারেজে থাকা একটি মাইক্রোবাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকলকর্মীরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে ঘটনাস্থলে যায়। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন পাঠক ডট নিউজকে জানান, গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে একটি ভবনের দেওয়াল ধসে পড়ার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিটের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে ঘটনার পরপরই কোতোয়ালী থানা পুলিশ ফায়ার সার্ভিস সেনা বাহিনী ও কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানী লি. সিটি কর্পোরেশন উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে।