
রাঙামাটি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
অর্ধকোটি টাকা চাঁদার দাবিতে এবার রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালীতে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে অন্তত ১০ জনকে গুরুত্বর আহত করেছে সশস্ত্র সন্ত্রাসে লিপ্ত থাকা আঞ্চলিকদলীয় পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার সময় ২নং রাইখালী ইউনিয়নের হাফছড়ি এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটায় সন্ত্রাসীরা।
আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা চন্দ্রঘোণা মিশন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুইজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে। আহতদের সকলকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা। ৮জন চন্দ্রঘোনা মিশন হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে। আহতদের মধ্যে রাজু, দবির, জাবেদ, সাহেদ, রেদোয়ান, কবীর, সাইফুল এর নাম জানাগেলেও তাৎক্ষনিকভাবে অন্যদের নাম জানা সম্ভব হয়নি।
২নং রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এরআগেও শান্তিবাহিনীর উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছিলো।
আহতরা জানিয়েছে, এডিবি’র অর্থায়নে রাঙামাটির ঠিকাদার ফারুকের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন রাস্তা ও ব্রীজের কাজ থেকে অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে জেএসএস নামধারী একদল পাহাড়ি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। এরআগেও উক্ত কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদেরকে দুই দফায় মারধর করেছিলো একই সন্ত্রাসীরা। এনিয়ে তৃতীয় দফায় হামলা চালিয়েছে জেএসএস নামধারী অস্ত্রধারীরা।
উক্ত কাজ বাস্তবায়নকারিরা জানিয়েছেন, উক্ত সন্ত্রাসীদের এরআগেও ২০ লাখ টাকা চাঁদা দেওয়া হয়েছিলো। সেগুলো নিয়ে আরো ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সেগুলো না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার তৃতীয় দফায় হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
এদিকে মাত্র ২৪ ঘন্টা আগে রাইখালীর পাশ্ববর্তী রাজস্থলী উপজেলার গাইন্দ্যা ইউনিয়নের লংগদু পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির ভবন নির্মানের কাজ শুরু করা হলে স্থানীয় একই আঞ্চলিকদলের পক্ষ থেকে চাঁদা দাবি করা হয়।
চাহিত চাঁদা না দিয়ে কাজ শুরু করলে বুধবার দুপুরের পর এই হামলার ঘটনা ঘটায় একদল মুখোশদারি সন্ত্রাসী। এসময় সহকারী ঠিকাদার হারুন ও শ্রমিক আক্কাস আলী ও রমিজ উদ্দিনকে বেদড়ক পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
এসময় তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোনসেট ও ৮ হাজার টাকা নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনার ৪৮ ঘন্টা আগে রাজস্থলীতে তিনজনকে অপহরণ করে নিয়ে এসে বালুমুড়া এলাকায় হাত-পা বেধে মাথায় গুলি করে হত্যা করে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। তাদের কোনো পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় ময়নাতদন্তের পর রাঙামাটি পৌরসভার মাধ্যমে মরদেহ সৎকার করা হয়।