
চট্টগ্রাম মহানগরীর পাথরঘাটার ব্রিকফিল্ড রোডের বড়ুয়া ভবনে গ্যাসলাইনের অংশ লিকেজ হওয়ায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বিস্ফোরণের সাতদিন পর আজ রবিবার জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
এছাড়াও তদন্ত রিপোর্টে ভবনটির নির্মাণ ক্রুটির কথাও বলা হয়।
বিকেল ৪টায় এক সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ জেড এম শরীফ হোসেন সাংবাদিকদের তদন্ত বিষয়ে বর্ণনা দেন।
১৩ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে গ্যাসলাইন দুর্ঘটনা এড়াতে পাঁচটি সুপারিশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্রুটিপূর্ণ গ্যাস রাইজার অংশ থেকে রান্নার জন্য ব্যবহৃত প্রাকৃতিক মিথেন গ্যাস বন্ধস্থানে জমা হয়ে ঘরে প্রবেশ করে। বিস্ফোরণ ঘটে ম্যাচের কাঠি জ্বালানো থেকে। গ্যাসলাইন দুর্ঘটনা এড়াতে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয় পাঁচটি পরিকল্পনা। বেশ কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং ভুক্তোভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীর মতামতের ভিত্তিতে জেলা প্রসাশন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত এই তদন্ত কমিটি এই রিপোর্ট জমা দেয়।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ জেড এম শরীফ হোসেন বলেন, বাড়ির অভ্যন্তরীণ গ্যাসলাইনের ত্রুটি এবং বাড়ির মালিক কর্তৃক সৃষ্ট কৃত্রিম শূন্যস্থান জমে থাকা গ্যাস এই দুর্ঘটনায় দায়ী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহসিন বলেন, বিস্ফোরণের দায়ে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত চলছে। জেলা প্রশাসনের এই রিপোর্ট আমাদের তদন্তে সহযোগিতা করবে। ভবন মালিককে ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও তিনি জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দি।
উল্লেখ্য ১৭ নভেম্বর সকালে কোতোয়ালী এলাকার পাথরঘাটার ব্রিকফিল্ড রোডের বড়ুয়া ভবনের নিচতলায় গ্যাস লিকেজের বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়।